অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হুমকির মুখে তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

অবিরাম বর্ষণের তোড়ে এবং পানির স্রোতে অসংখ্য বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে। যে কোন মহুর্তে বাঁধটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসি। বাঁধটি ধসে গিয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করলে ১০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বাঁধটির ডানতীর উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত কামারজানি হতে বামতীর তারাপুর ইউনিয়নের শেষপ্রান্ত ঘগোয়া পর্যন্ত  দীর্ঘ ৩৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা মারাত্বক হুমকির সম্মুখিন হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কার্যালয় পর্যন্ত বাঁধটিতে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পূর্বাঞ্চল হতে উপজেলা শহরের প্রবেশের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি। প্রতিদিন বাঁধটির দিয়ে হাজারও যানবাহন চলাফেরা করে। আটোবাইক চালক আলামিন মিয়া জানান বৃষ্টি হলে বেলকা-সুন্দরগঞ্জ বাঁধটির উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যায়। এছাড়া বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করা চলে না। বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ জানান তঁার ইউনিয়নের সীমানা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধটিতে প্রায় ২০টি স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মহুর্তে বাঁধটি ধসে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। গত বছরের বন্যায় বেলকা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ প্যালাসাইটিং দিয়ে বালুর বস্তা ফেলেছিল। চলতি বন্যা মৌসুমে তা করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, গুরুত্ব অনুযায়ী বাঁধ সংস্কার করা হচ্ছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান বন্যা নিয়ন্ত্রণটি বাঁধটিতে বেশ কিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে।