অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দ্বিতীয় দফার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। টানা অবিরাম বর্ষন এবং উজানের ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। পানি কমতে শুরু করলেও উপজেলার বিভিন্ন চরে বন্যার তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে দ্বিতীয় দফা বন্যায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন চরের কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবারের ৪২ হাজার মানুষ পানিবন্ধি । হরিপুর চরের ওয়াহেদ আলী জানান তার ঘরের ভিতরে এখনও হাটু পানি। স্ত্রীপুত্র পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি । হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, চরাঞ্চলের পরিবারগুলো বিশেষ করে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ইতি মধ্যে বানভাসি গৃহপালিত পশুপাখির জন্য খড়ের আটি বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার ( ১৫ জুলাই) উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বেলকা বটতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বটতলা দাখিল মাদরাসায় আশ্রয় নেয়া বানভাসি ১০০ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সামগ্রী চাল, ডাল, তেল, নুডুলস, লবন, চিড়া, চিনি, তেল সমৃদ্ধ প্যাকেট বিতরণ করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিস আলী, সহকারি কমিশনার (ভুমি) শাকিল আহমেদ, বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ, ট্যাক অফিসার মোখলেছুর রহমান, ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন বাবু, ফারুক মিয়া প্রমুখ। জেলা প্রশাসক পায়ে হেঁটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধে আশ্রয় নেয়া বানভাসিদের সাথে কথা বলেন এবং বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।