বগুড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত মাদক, জুয়া, ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীসহ ২৪ ঘন্টায় ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার মাঝে রয়েছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী যাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা, গাঁজাসহ মাদকসেবনের একাধিক সরঞ্জামাদী।
এজাহার এবং সদর থানার সেকেন্ড অফিসার মঞ্জুরুল হক ভূইয়া’র দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, করোনার মাঝেই সদর থানার ওসি হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে বগুড়া সদরের বিভিন্ন এলাকায় কঠোর অভিযান চলমান রয়েছে । গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় উক্ত আসামীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যাদের মাঝে, ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিসিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেটের কাছ থেকে পূর্বের ৪টি বিচারাধীন মাদক মামলার আসামী আইনুল শেখ (৬৩) কে পুনরায় ইয়াবা বিক্রির সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় এবং তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয় ৩০পিচ ইয়াবা। পরবর্তীতে তাকে ব্যবহার করেই বিভিন্ন এলাকার আরো ৮ জন মাদকসেবীকে গ্রেফতার করে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এদিকে সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ও এস.আই জিলালুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযানে ৩০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয় সুলতানগঞ্জপাড়া নিবাসী শ্যামলী বেগম(৪০) এবং শ্যামলীর কাছে ইয়াবা বিক্রেতা শিবগঞ্জ বিহারের আতাউর রহমান (৪০) যাদের ২ জনের বিরুদ্ধেই মাদক আইনে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। উক্ত ফাঁড়ির পৃথক আরেকটি অভিযানে সদরের কালশিমাটি এলাকা থেকে ইয়াবা বিক্রির জন্যে অবস্থানকালে ৩০পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় পূর্বের ৪টি মামলার চিহ্নিত আসামী বাবুল আহম্মেদ (৩৪) কে। এছাড়াও নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই বেল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ১’শ গ্রাম গাঁজাসহ পূর্বের ৩টি বিচারাধীন মামলার আসামী উত্তর-চেলোপাড়ার রফিকুল ইসলাম ব্যাপারী (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উক্ত ফাঁড়ির অপর একটি পৃথক অভিযানে আকাশতারা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জন আসামীকে। এদিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই রহিম উদ্দিনের পৃথক আরেকটি অভিযানে সদরের চকদূর্গা এলাকা থেকে করোনার মাঝেই একটি টিনশেড ঘরে একত্রিত হয়ে জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে প্রায় ২ হাজার ৩’শ টাকা এবং তাসের বান্ডিলসহ এলাকায় চিহ্নিত জুয়ারী ইউসুফ আলী খাঁ (৩৭)সহ মোট ৮ জন জুয়ারী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বগুড়া সদর থানার পরিচালিত অভিযান প্রসঙ্গে ওসি হুমায়ূন কবিরের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনে মামলা দায়ের করে শুক্রবার দুপুরের পর আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে যার মাঝে মাদক আইনে পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে মোট ৬টি। জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এর নির্দেশনায় এবং সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী’র সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে বগুড়াকে মাদক, জুয়া এবং সন্ত্রাসমুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে। অপরাধ যেই করুক না কেন তা ক্ষুদ্র হলেও জিরো টলারেন্সভাবে তা প্রতিহত করা হবে মর্মে সকল অপরাধী এবং মাদকের সাথে যুক্ত সকলকে কঠোর হুশিয়ারী দেন সদর থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।