বগুড়ায় জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পৃথক মাদকবিরোধী অভিযানে বৃহস্পতিবার বগুড়া সদর এবং সোনাতলা উপজেলা থেকে ১’শ বোতল ফেন্সিডিল, ১’শ পিচ ইয়াবা এবং ১ কেজি গাঁজাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে মর্মে জানা যায়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে সদরের মাটিডালী বিমান মোড় এলাকায় ডিবির একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে তল্লাশী চালিয়ে কারের পেছনের ডালা থেকে একটি স্কুল ব্যাগের ভিতরে লুকায়িত রাখা ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকেই আব্দুল বারী (৪৫), নাহিদ আহম্মেদ ফারুক (৩৫) ও মোহাম্মদ আলী (৫৫) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। গ্রেপ্তার এই তিনজনের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়।
অপর একটি দলের অভিযানে সদর উপজেলার ভাটকান্দি এলাকা থেকে ১০০ পিচ ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম (৩২) ও মোছা. শারমিন আক্তার (২৮)। তাদের উভয়ের বাড়ি সদরের নাটাইপাড়া-ভাটকান্দি এলাকায়। এদিকে ডিবির আরেকটি দল জেলার সোনাতলা উপজেলায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। এতে দিগদাইর ইউনিয়নের মহিচরণ গ্রাম থেকে বিক্রির সময় ১ কেজি গাঁজাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলে আশরাফুল ইসলাম (৪৬), হেলাল (৩০), সাইফুল আলম (৬৩), আব্দুর রশিদ সরদার (৫৯), আমিনুল ইসলাম (৩৫)। এরা সোনাতলা, গাবতলী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আছলাম আলী পিপিএম জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বগুড়া সদর এবং সোনাতলা থানায় পৃথক পৃথকভাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার নির্দেশনায় মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান কঠোরভাবে চলমান থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা। এদিকে বর্তমানে চলমান মাদকবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী জানান, করোনা দুর্যোগে সম্মুখসারিতে থেকে পুলিশ সদস্যরা সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। একদিকে করোনা মোকাবেলা এবং একইসাথে জেলার সুষ্ঠু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা সমভাবে দুটোতেই দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। করোনা হয়তো একটা সময় বিদায় নেবে কিন্তু মাদকমুক্ত বগুড়া ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে জিরো টলারেন্সভাবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে মর্মেও তিনি মাদকের সাথে যুক্ত সকলকে জেলা পুলিশের পক্ষে কঠোর হুশিয়ারী দেন।