রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নভেল করোনা ভাইরাসের কারনে ঔষধ পাচ্ছেনা রোগিরা। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা সবসময় ডাক্তারসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসা সহকারীদের কাছ থেকে পাচ্ছেনা ঔষধ। ফলে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা সেবা ও সরকারি ঔষধ নিতে এখানে এসে হতাশ হয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সরকারীভাবে মানসম্পন্ন খাবার বরাদ্দের নিয়ম থাকলেও সেটাও পাচ্ছেনা তারা। ফলে সাধারন মানুষ অনেকটা অসহায় হয়ে এখানে আসে চিকিৎসা সেবা নিতে। তবে জেলা সিভিল সার্জেন স্বাস্থ্য অফিস থেকে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ঔষধ সরবরাহের বিষয়টি জোর দিয়ে বললেও রোগীরা শুধুমাত্র প্যারাসিটামল.খাবার স্যালাইন,কট্রিম,আয়রন,হিষ্টাসিনসহ নিন্মমানে ঔষধ গুলোই পাওয়া যায়। সরেজমিন গতকাল বুধবার সকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়,এখানে ভর্তি হওয়া প্রতিটি রোগীর জন্য পর্যাপ্ত সরকারী ঔষধ এবং খাবার সরবরাহের নিয়ম থাকলেও কার্যত সেটা হচ্ছেনা। এখানে ভর্তি থাকা রোগীদের মান সম্পন্ন খাবার সরবরাহের কথা থাকলেও অদৃশ্য কারনে সেটা হচ্ছেনা। আর এটা দেখভালোর ব্যাপারে প্রধান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক রইচ উদ্দিনের নিরবতাও প্রশ্ন বিদ্ধ। তিনি স্থানীয় হবার কারনে বর্তমানে বাগমারা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতিতে পরিনীত হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সুত্র জানায়,প্রতিটি রোগীর জন্য সকালে ডিম,কলা,পাউরুটি এবং দুপুর ও রাতে মানসম্পন্ন মাছ ও গোস্ত দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা মানা হচ্ছেনা। এছাড়া সকালে কলা,ডিম,পাউরুটি থাকলেও দুপুর,রাতে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যমানের সিলভার বা ব্রিগেড জাতীয় মাছ রোগীদের খাবারের ম্যানুতে থাকে। যার টুকরোগুলোও খুব ছোট আকারের। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে রোগীদের পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে রোগীরা কোন ঔষধ পাচ্ছেনা। বাধ্য হয়ে খোলা বাজারের দোকান থেকে ঔষধ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রোগি জানায়,কোন ঔষধ পায়নি হাসপাতাল থেকে। তাই বাধ্য হয়ে খোলা বাজারের দোকান থেকে ঔষধ কিনতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও হাসপাতালের টয়লেট বাথরুমগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী। পরিস্কার,পরিচ্ছন্নতার অভাবে এগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছেন।অপনদিকে,উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সেকরোনা চিকিৎসা কাজে চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য সেবা কাজে নিয়োজিতদের সরকারী ভাবে যে অর্থ বরাদ্দ এসেছে সেই অর্থ কেহ পায়নি বলে অভিযোগও রয়েছে,তবে সব মিলিয়ে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও স্বাস্থ্য সেবার কোন উন্নতি হয়নি। তাই সাধারন মানুসের দুর্ভোগ তাই প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সামাজিক নিরাপদ দূরুত্বের কারণে রোগীরা হাসপাতালে যেমন সঠিক চিকিৎসা নিতে পারছেন না, ঠিক তেমনি করোনার ভয়ে ডাক্তাররাও রোগী দেখছেন দায়সারাভাবে। এবিষয়ে টি এস এ ডা: গোলাম রাব্বানীর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি যোগদানের পর কেছুটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। আর চলতি বছরের জুন মাসে ঔষধ কেনার জন্য সরকারি ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রলয় থেকে ৩৮ লক্ষ টাকা বরাাদ্দ পেয়ে ছিলাম। কিন্তু বগুড়া ড্রাগ কোম্পানী ঔষধ সরবাহ না দিতে পারায় সেই টাকা পুনরায় স্বাস্থ্য মন্ত্রলয় ফিরে গেছে। তবে আগামীতে এই সমস্যা থাকবে না বলে জানান এ কর্মকর্তা।