আত্রাই, গুরনই নদীর বন্যার পানির তীব্র স্রোতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের শাহবাজপুর-তাজপুর-তেমুখ নওগাঁ সড়কের তিনটি
স্থানে ভেঙ্গে হু হু করে পানি ঢুকছে শেরকোল ও তাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। তীব্র বেগে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে এখনও। হুমকির মুখে
রয়েছে কয়েকটি বাড়ি এবং নওগাঁ বাজার। আজ বুধবার (১৫ই জুলাই) ভোররাতে সড়কটির তিনটি পয়েন্ট পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। বুধবার দুপুর
পর্যন্ত নদীর পানি বিপদ সীমার ৪২ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটি তুলনামূলক নিচু জায়গায় নির্মাণে তাদের আপত্তি থাকলেও কর্ণপাত করেনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। ফলে অতি
সহজেই পানি প্রবেশ করছে। সকাল থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি। নাটোর পানি উন্নয়ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার
বেলা ২ টার রিডিং অনুযায়ী বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে আত্রাই নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ৪ কোটি ৯০ লাখ
টাকা ব্যয়ে মাস দুয়েক আগ শাহবাজপুর তাজপুর-তেমুখ নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। সড়কটির তিনটি অংশ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ
করায় অনান্য দুর্বল অংশগুলোও ভেঙ্গে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে শেরকোল ও তাজপুর ইউনিয়নের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন ও শেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাজপুর
ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন জানান, গতকাল সকাল থেকে আমরা বালুর বস্তা দিয়ে রাস্তার বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেই। তবে পর্যাপ্ত ছিলো না। যার
কারনে গভীর রাতে পানির তোড়ে তিনটি স্থানে পাকা সড়ক ভেঙ্গে গেছে। মেরামত করার জন্য চেষ্টা চলছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জব্বার জানান, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয়ের নির্দেশনায়
আমরা নদীর তীরের ভাঙ্গন রোধে কাজ করে যাচ্ছি। সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে কাজ অব্যহত রয়েছে। এর আগে বন্যার প্রস্তৃতির জন্য
প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের ডিও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সংশি-ষ্ট বিভাগের গাফিলতির কারনে বাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার
নাসরিন বানু জানান, ঘরবাড়ি রক্ষায় বাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।