নীহারিকা ফিরে এসো রজনীর বুকে

এখন গভীর রাত এই সমুদ্র সৈকতের বাহারী রূপ ঝলকে,
তোমার জন্য আমি দাঁড়িয়ে আছি অমৃত প্রেম ও ভালোবাসার জীবন আলোকে-
নীহারিকা ফিরে এসো তারকা আর নক্ষত্রভরা এই গভীর রজনীর বুকে!
মৃদু শীতল আর প্রেমময় ফাগুন বাতাস বইছে এখানে দিওয়ানা পাতক,
চারিদিকে নিস্তব্ধ নিরব আমি ও পৃথিবী নির্ঘুম বিরহে!
হয়তো তুমি ফিরে আসবে রাত্রির আঁধার পেরিয়ে বিমগ্ন ভালোবাসার মোহে।
চন্দ্রময় আলোতে হাঁটতে হাঁটতে নতুন প্রেম ও বাসনার মিলন পৃথিবীতে,
ক্লান্ত পা দুটি তোমার ধীরে ধীরে চেনা মুখ খুঁজে পাবে মধুময় স্মৃতিতে।
সমুদ্র সৈকত চূঁড়ার কাছাকাছি যেখানে আমি দাঁড়িয়ে,
সেখানেই তোমার আর্দশ ও সভ্যতার প্রেম নতুন নির্মাণ করবে কল্যাণ উদয়।
আগামী বাস্তব জীবনের ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি তুলবে প্রজ্ঞা ও বিজ্ঞতার জ্ঞানে,
এ যেন বিস্ময় নদীর পর নদী পেরিয়ে সমুদ্রের পথে পথে তোমার ঠিকানা!
হয়তো একদিন আমাদের দেখা হতে পারে বিরহ বিচ্ছেদের জল,
জীবন ও মৃত্যুর মাঝামাঝি কেউ জেগে থাকে কেউবা ঘুমিয়ে পড়ে অনল!
কিন্তু নীহারিকা তুমি জেগে থাকো বিদগ্ধ রজনীর প্রেমভরা আশার বুকে।
অবিরাম প্রবাহিত নির্মল সাগর ও আসমানে তোমার গন্তোব্য পরিচয় আঁকে!
কতো পাহাড় পেরিয়ে পর্বত আর দৃশ্যমান প্রকৃতির জীবন আনন্দ ও বেদনার কোলাহলে।
চন্দ্র সূর্য নক্ষত্র গতিশীল চলমান কক্ষ পথে নিজ নিজ অলৌকিক জ্বলে।
তাদের অস্তিত্বের গভীরে প্রেম ও ভালোবাসা গোপনে আলো জাগায় চঞ্চল ফাগুন!
জীবনের মোহনাতে দাঁড়িয়ে কতো জীবনকে দক্ষ করে অভিজ্ঞতার প্রজ্ঞাময় জ্ঞানে।
বিনয় শ্রদ্ধাপূর্ণ প্রেমের তাজমহল ও সিরাজ নগরের সমাধিতে কবি একা নির্জন বিরহে কাঁদে।
যেখানে তুমি সহসা দাঁড়িয়ে থাকো বিদগ্ধ ভালোবাসা শস্যভরা সোনালী রোদে।
নিজ পরিচিত সেই পুরনো অতীত স্মৃতিময় চেনামুখের অপেক্ষা ও প্রতিক্ষাতে!
সুন্দর শুভ্রতর সবুজতর ও স্বচ্ছতর অরণ্য পাখির সুর ও গানের চৈতন্যময় পিরিতে পিরিতে।
গহীন ও গভীরতর জলবিন্দু ঝর্ণার নদীতে ভেসে ভেসে
নিঃসঙ্গ দিওয়ানা জীবন আমার এই মৃত্তিকা ও তোমার প্রেমের লহরিতে মিশে,
বৃক্ষের উদ্যানে ও রঙিন ফুলের সৌরভে সৌরভে তোমাকে খুঁজি গোপনে।
নীহারিকা ফিরে এসো এই গভীর রজনীর বিচ্ছেদভরা স্বপ্ন বাসনা জাগরণে,
এক অনাদি অনন্ত ও চিরন্তন ভালোবাসার আগামী সু-ষমবন্টন জীবনে।।
১৫/০৭/২০২০