করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণাকারী কথিত জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ফারুক চৌধুরী আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন। ৩ জুলাই সাংবাদিক নাসিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশের আলোচিত প্রতারক জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ফারুক চৌধুরীকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এ সংক্রান্ত একটি লেখা পোস্ট করেন। যা ড. সাবরিনার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ৭ জুলাই ব্যারিস্টার সাদিক অ্যাসোসিয়েটসের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খাদিজাতুল কোবরার মাধ্যমে ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান নাটোরে। বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের নাটোর প্রতিনিধি সাংবাদিক নাসিম উদ্দীন নাসিম। নোটিশে বলা হয়, আমার ক্লায়েন্ট ড. সাবরিনা শামরিন হোসেন একজন সুনামধন্য হৃদরোগ সার্জন। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে এ পেশায় নিয়োজিত আছেন। ‘ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা, সাবরিনা আরিফ চৌধুরী কেন গ্রেফতার হলো না’ শীর্ষক সংবাদের মাধ্যমে তাকে সামাজিক ও পেশাগতভাবে মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। কেন আপনার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এবং ২৯ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না- নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হল।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক নাসিম জানান, সংবাদটির তথ্যসূত্র হিসেবে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্ব-পশ্চিম বিডির কথা লেখা থাকলেও তিনি আমাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণাকারী এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সঙ্গে জেকেজির চেয়ারম্যান ড. সাবরিনাকে গ্রেফতার করায় সরকারপ্রধান এবং পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ড. সাবরিনাসহ করোনা টেস্টের জালিয়াতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে রোববার গ্রেফতার করে পুলিশ। সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে যে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, সাবরিনাকেও সেই একই মামলার আসামি করার প্রক্রিয়া চলছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে নমুনা সংগ্রহ করার চুক্তি করেছিল জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা (জেকেজি হেলথকেয়ার)। বাসা থেকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকার বিনিময়ে তারা নমুনা সংগ্রহ করছিলেন এবং ভুয়া প্রতিবেদন দিচ্ছিলেন।