মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ
মৌলভীবাজারে প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মহসীন আলী ও পরবর্তীতে তার ভাইদের দখলে থাকা ৬৩০ শতক ভূমির প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির দখল ফিরে পেলেন উক্ত ভূমির মৌরসী স্বত্বে মালিক সৈয়দ জহির হাসানগংরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ জহির হাসান জানান- সৈয়দ মহসীন আলী প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দলিল তৈরি করে সৈয়দ মিরন তালুক এর উক্ত ভূমি তাদের দাবী করেন। ১৯৯০ সালে বিজ্ঞ জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হলে ( মামলা নং- ১৩/৯০ইং) বিজ্ঞ আদালত আমাদের সৈয়দ মিরন তালুক এর পূর্ব পুরুষের মৌরসী সম্পত্তিমূলে ১৯৯৪ইং সালে ডিগ্রী প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ হাইকোর্টে সৈয়দ মহসীন আলী আপীল দায়ের করলে ১৯৯৫ সালে উক্ত আপীল খারিজ করে দেন। পুনরায় ২০০২ইং,২০০৪ইং ও ২০০৮ইং রিভিউ দায়ের করলে উক্ত রিভিউ খারিজ করে দেন বিজ্ঞ আদালত। ২০২৩ইং সালে রিভিউ পিটিশন দায়ের করলে এর উক্ত রিভিউ চ্যালেঞ্জ করে সৈয়দ জহির হাসান সুপ্রীম কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। বর্তমানে উক্ত রিট চলমান রয়েছে। তিনি আরো জানান- সৈয়দ মিরন এর বংশধর হলেন- সৈয়দ জোয়াদ আলী, সৈয়দ লাল শাহ, সৈয়দ তেগ আলী, সৈয়দ রমজান আলী, সৈয়দ আরজান আলী, সৈয়দ আব্দুল মন্নান, সৈয়দ জহির হাসান, সৈয়দ আব্দুল হাসান, সৈয়দ ইমরান হাসান। সৈয়দ রমজান আলী‘র কাছে সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর বোন বিবাহ দেন। সেই সুত্রে সৈয়দ মিরন তালুক-এ আসা যাওয়াসহ দেখা-শুনা করতেন সৈয়দ মহসীন আলী ও তার পরিবার। তৎকালীন সময়ে সৈয়দ মিরন তালুক এর ১ বছরের খাজনা বাকী দেখিয়ে কেরামত আলী-কে দিয়ে উক্ত জায়গা নিলামে তোলা হয়। পরবর্তীতে ২৪ বিঘার চৌহাদা বর্ননা করে সাড়ে ১০ বিঘা জমি রেজিষ্টারী করা হয়। দলিলে বৈধতা পাওয়া যাবে না ভেবে রেজান উল্ল্যাহ-নামক এক ব্যক্তি (সৈয়দ মিরন তালুক এ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ সুত্রে) দিয়ে আরো ৫টি দলিল সৃষ্টি করা হয়। মায়ের কবর পাকাকরণ ও কবর দিতে দেয় নি। পুরাতন অনেক কবর মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রভাবশালী মন্ত্রী মরহুম সৈয়দ মহসীন আলী ও তার ভাইদের কারণে অনেক মানুষ বাড়ী-ঘর ছেড়ে আজ পথে। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন- সৈয়দ নওশের আলী খোকন, সৈয়দ লিয়াকত আলী, সৈয়দ মস্তাক আলী বর্তমানে যে বাড়ীতে বসবাস করছেন সেই বাড়ীটি ও বিজ্ঞ আদালতের ড্রিগী প্রাপ্ত ভূমি। উক্ত ভূমি প্রভাব জবর দখলে রয়েছেন। সৈয়দ লিয়াকত আলীসহ তাদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ ভয়ে সাহস পাচ্ছে না। আমিসহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
