পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৭) নামে একজন ছাত্রী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের অষ্টমনিষা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। জান্নাতুল ওই গ্রামের কৃষক বুরুজ আলীর মেয়ে। সে বছর অষ্টমনিষা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল। এনিয়ে ভাঙ্গুড়ায় একদিনের দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জান্নাতুল ফেরদৌস এবছর এসএসসি পাশ করে কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সম্প্রতি পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সাথে জান্নাতুলের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এতে বাবা মায়ের ওপর অভিমান করে গত দুই-তিন দিন ধরে জান্নাতুল ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করেনি। একপর্যায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির সকলের অজান্তে নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। পরে পরিবারের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করলেও বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করেনি। এদিকে এদিন সকালে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কালিকাদহ গ্রামে স্বামী তালাক দেয়ার ঘটনায় গৃহবধূ মৌমিতা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। অষ্টমনিষা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনসার আলী বলেন, একজন শিক্ষার্থীর অকালে চলে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। জান্নাতুলের আচার-ব্যবহার ব্যবহার ভালো ছিল। কেন সে এই কাজ করলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অষ্টমনিষা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে এসএসসি পাস করা জান্নাতুল ফেরদৌস গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে পারিবারিক অশান্তি লেগেছিল সেটা পরিষ্কারভাবে বুঝা যাচ্ছেনা। পরিবারের কেউ এ ব্যাপারে বিস্তারিত এখনো জানায়নি।