শরীয়তপুরের ডামুড্যায় জমি সংক্রান্ত জেরে মা’কে মেরে রক্তাক্ত ও পূত্রকে মেরে আহত করে মৃত্যুর হুমকি দিয়েছে আপন চাচাসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। অভিযোগটি ওঠে উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরমালগাও গ্রামের মৃত সিকিমালী খানের ছেলে আ: সাত্তার খান(৪৫), মৃত হাসেম খানের ছেলে জামাল খান(৪৩) গংদের বিরুদ্ধে। সোমবার ২৯ জুন রাত ১০ টার দিকে ওই গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মা ও ছেলে হলেন- ধানকাঠি ইউনিয়নের চরমালগাও গ্রামের মৃত আ: রব খানের স্ত্রী হাজেরা বেগম(৭০) ও ছেলে মো: আব্বাছ খান(৪১)।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চরমালগাও গ্রামের মৃত সিকিমালী খানের ছোট ছেলে আ: সাত্তার খান ও মৃত আ: রব খানের ছেলে মো: আব্বাছ খানের সাথে বাড়ির জমির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। মো: আব্বাছ খান ও আ: সাত্তার খান চাচা-ভাতিজা। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে চাচা আ: সাত্তার খান, স্থানীয় জামাল খানসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে নিয়ে ভাতিজা মো: আব্বাছ খানকে লাঠি দিয়ে মারপিটসহ এলোপাথাড়ি লাথি, ঘুষি দিয়ে আহত করে মৃত্যুর হুমকি দেয়। সন্তানকে মারপিটের সংবাদ পেয়ে মা হাজেরা বেগম ছেলেকে বাচাতে সামনে গেলে তাকেও শরীরে ও মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে তাদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে স্থানীয়রা তাদেরকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে মো: আব্বাছ খান বলেন, আমাকে আমার চাচা আ: সাত্তার খান রাস্তার উপরে রাত ১০ টায় ডেকে নিয়ে দলিল চায়। আমি বাড়িতে দলিল আনতে রওয়ানা হলেই আমাকে পিছন দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে জোড়ে মারপিট করে মৃত্যুর হুমকি দেয়। আমার মা আমাকে বাচাতে এলে তাকেও শরীরে মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মা হাজেরা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে মারপিটের সংবাদ পেয়ে ছেলেকে বাচাতে গেলে আ: সাত্তার ও তার লোকজন আমাকেও শরীরে ও মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত করে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এর বিচার চাই। এ ব্যাপারে ডামুড্যা ওসি মেহেদী হাসাদন বলেন, ডামুড্যার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরমালগাও গ্রামের মারামারির একটি অভিযোগ হয়েছে। এসআই মিজানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মামলা কোর্টে পাঠানো হবে।