করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও শনাক্তকরণের কাজে নিয়োজিত বাদ পড়া সেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের রাজস্বখাতে স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ (বিএমটিপি) বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। রবিবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নব-যোগদানকৃত জেলা প্রশাসক জিয়াউল হকের মাধ্যমে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অন্যতম পেশাজীবি সংগঠন বিএমটিপি বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন বাদল এবং সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত উক্ত স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনা দুর্যোগের মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শুরু থেকে দেশব্যাপী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ এবং পিসিআর ল্যাবসমূহে কাজ করে যাচ্ছে। টেকনোলজিস্ট স্বল্পতাদূরীকরণ এবং দেশব্যাপী পরীক্ষার পরিমাণ বাড়ানোর জন্যে সম্প্রতি মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ১৪৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে স্থায়ী নিয়োগ প্রদান করা হয় যারা সেচ্ছাসেবক হিসেবে এই ক্রান্তিকালে নিয়োজিত ছিলেন কিন্তু উক্ত তালিকা হতে অনেকের নাম বাদ পরে যায় যারাও সমভাবে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে নমুনা সংগ্রহ ও শনাক্তকরণের কাজে নিয়োজিত বাদ পড়া সেচ্ছাসেবীদের সম্প্রতি হয়ে যাওয়া নিয়োগের ন্যায় রাজস্ব খাতে স্থায়ী নিয়োগের ব্যবস্থাকরণের দাবি জানানো হয় স্মারকলিপিতে। স্মারকলিপি প্রদানের সময় সংগঠনের পক্ষে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএমটিপি বগুড়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি আকলাকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার তালুকদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আপেল মাহমুদ ও রতন কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে আল-আমিন ও মোজাহিদুল আলম, কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ টেকনোলজিস্ট জনি মিয়া, নয়ন মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, আমিরুল ইসলাম, শুভ কুমার প্রমুখ।