গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শনিবার দিবাগত রাত হতে পানি ফের বেড়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্ধি পরিবারগুলো গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশ্রয়ন কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আশ্রয়ন কেন্দ্রে অবস্থানরত পরিবার গুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর বিভিন্ন চর প্লাবিত হয়ে কমপক্ষে ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। অবিরাম বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে আগাম বন্যা দেখা দেয়। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম জানান চরের প্রতিটি বাড়িতে পানি উঠেছে। গত মঙ্গলবার সকাল হতে পানি বৃদ্ধি অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া চরের বিভিন্ন প্রকার আবাদি জমি ডুবে গেছে। কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, তাঁর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫ হাজার পরিবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আশ্রয়ন কেন্দ্র এবং বাঁধের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান পানিবন্ধি পরিবারদের মাঝে এ পর্যন্ত ৫০ মেট্রিকটন চাল ও ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান বিভিন্ন ইউনিয়নে দায়িত্বরত অফিসারগণ প্রতিনিয়ত পানিবন্ধি পরিবারদের খোজ খবর নিচ্ছে এবং ত্রাণ বিতরণ করছে।