নাটোর প্রতিনিধি-বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে “নাটোরে তিন যমজ সন্তান নিয়ে সংকটে বৃষ্টি পাহান সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি উমা চৌধুরী জলির দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। বৃষ্টি পাহানের
বাড়িটি সদর উপজেলার হরিশপুর ইউনিয়নের আদিবাসী পল-ী হাজরা নাটোরে। নাটোর
পৌর এলাকার বাহিরে হওয়ার পর ও মানবিক কারণে তিনি সংবাদটি দেখেই কাউন্সিলর
নান্নু শেখ ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আকতার কে দিয়ে পাঠান তিন যমজ সন্তানের জননী বৃষ্টি পাহানের বাড়িতে। তারা পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলির পক্ষ থেকে দুধ,শিশু খাদ্য এবং নগদ টাকা তুলে দেন পরিবারটিকে ।
স্থানীয় কাউন্সিলর নান্নু শেখ বলেন,পৌর মেয়র উমা চৌধুরী সংবাদটি দেখেই তড়িৎ আমাকে দিয়ে দুধ,শিশুখাদ্য এবং নগদ টাকা পাঠান ।মেয়রের পক্ষ থেকে তিন যমজ শিশুকে প্রয়োজনীয় সাহায্য অব্যাহত থাকবে ।পৌর মেয়র তিন যমজ শিশু ভাতার জন্য ইতিমধ্যে বড় হরিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন ।
এ সময় বৃষ্টি পাহান বলেন, পৌর মেয়র জলিদি আমার তিন যমজ বাচ্চার জন্য যে সাহায্য
করলো তা আজীবন মনে রাখবো। সাংবাদিক ভাইয়েরা লেখার জন্য আমার তিন বাচ্চার
দুধসহ খাবার ব্যবস্থা হলো । হামি খুশি আছি বাবু।
আদিবাসী পল-ী প্রধান পরিস্কার সরদার বলেন, করোনার শুরু থেকে মেয়র জলিদি মানবতার
সত্যিকার ফেরিওয়ালার ভূমিকায় আছেন । অসহায় তিনযমজ শিশুর পার্শ্বে দাঁড়ানোর জন্য
পৌর মেয়র এবং সাংবাদিকদের ধন্যবাব জানান ।
উলে-খ্য…সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয় যে, নাটোর শহরের হাজরা নাটোর এলাকার আদিবাসী পল-ীর দিনমজুর কাশিনাথ পাহানের স্ত্রী বৃষ্টি পাহান। ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল সিজারের মাধ্যমে বৃষ্টি পাহান তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
বাচ্চাদের নাম রাখা হয় কর্ণ, কেশব, কৈশিক। একই রকম চেহারার তিন শিশুকে নিয়ে
মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে আদিবাসী পরিবারটি। বাচ্চাদের বাজার থেকে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। করোনার লকডাউনে তাদের কেউ সাহায্য করেনি। তিন সন্তানের জনক কাশিনাথ পাহান মানুষের জমিতে ক্ষেতমজুরের কাজ করে যা পান তা দিয়ে পাঁচজনের সংসার খেয়ে না খেয়ে দিনানিপাত করছে।