ইবি প্রতিনিধি-ছাত্রীর সাথে অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র পরিচালকের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তথ্যটি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও এক নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে কথােপকথনের একাধিক অডিও সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগােচর হয়। অধ্যাপক ও নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে অডিওতে যেভাবে অশ্লীল ও আপত্তিকর কথাবার্তা হয়েছে তা শিক্ষক হিসেবে নৈতিক স্ফলনের সামিল। যাতে শিক্ষক সমাজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হয়েছে। এরুপ কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযােগে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানকে টিএসসি সি’র পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলাে। এছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা চিঠি পাওয়ার আগামী ০৭ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুনকে অাহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্যরা হলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন। কমিটিকে যথাশীঘ্র সম্ভব উপাচার্যের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।
এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ অাসকারী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও এক নারী শিক্ষার্থীর অশ্লীল প্রেমালাপের দুটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। অডিও ক্লিপের একটিতে ড. মিজানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে একা বাসায় আসার প্রস্তাব দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল আলাপ করতে শোনা যায়।