দরজার আড়ালে কারা

হে ভণ্ড বুদ্ধিজীবীগণ আর হে ভণ্ড প্রতারক পণ্ডিতগণ,
হে পর্দার আড়ালে থাকা অশুভ ব্যবসায়ীগণ,
হে সন্ত্রাস দূর্নীতিবাজ ও অবৈধ কালো টাকার ভণ্ড প্রভুরা।
তোমরাই কি চুষে চুষে খাচ্ছো না জাতির আয় মুনাফা ও সম্পদগুলো বার বার?
আর প্রশ্নে প্রশ্নে কি ক্ষত-বিক্ষত করছো না নিজেদের কর্মকে অন্ধকার?
একদিন দেশ সমাজ ও বিশ্ব-মানবজাতির কাছে কি জবাব দেবে সম্পদ লুটের?
হে জ্ঞানহীন হে ধর্মের অসত্য ফেঁতনাবাজ ঘৃণ্য চক্রান্তের দালালরা?
চলমান সময়ের গতিতে আর বেমালুম আত্মগ্লানিতে একদিন তোমাদের শরীর থেকে বের হতে
থাকবে পচনের গন্ধ ও বিভীষিকাময় পাপের অতীত!
মহামারী দূর্যোগে পৃথিবীর অসংখ্য মানুষ এখনও দিন আনে দিন খায়,
কেউবা দিন-রাত অভাব ও অনাহারেই থেকে যায়।
কেউ-কেউ ছেঁড়া কাপড় তালি দিয়ে করে জীবন যাপন
মধ্যবিত্তরা লজ্জায় নিরব চেয়ে থাকে মুখ খোলে না বেদনার মরণ!
বিশ্ব রণাঙ্গনে প্রতিদিনই শিশুদের রক্ত ঝরে কি যে যন্ত্রণা?
কিন্তু তোমরা তাদের রক্ত ঘাম থেকে চুষে নিচ্ছো অর্থ বিত্ত রসদ কি যে বেদনা?
আর নিজেরা ডিম দুধ মাংশ ও রঙিন মদের নেশায় করছো আনন্দ ফূর্তি?
কামনা আর বাসনার জলছা ঘরেই কি তোমাদের নিত্য স্বপ্ন বিলাস ও জীবন প্রীতি?
কখনো নিষিদ্ধ পল্লীর বালাখানায় নতুন নেশায় তোমরা হচ্ছো মগ্ন মাতাল।
হে ভণ্ড বুদ্ধিজীবীগণ আর হে ভণ্ডপণ্ডিতগণ ও কালো তালিকাভূক্ত টাকার দাসরা একদিন তোমাদের জীবন কর্ম হবে বিফল,
তখন কি জবাব দেবে এই পবিত্র জন্মভূমির সত্য প্রশ্নের জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে আসহায় ও ক্ষুধার্ত মানুষের মানবিক সভ্যতার জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে দেশপ্রেমিক ও জাতির উত্তরসূরীদের জীবন জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে স্বধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাজারও প্রশ্নের জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে ত্রিশলক্ষ শহীদের লাল রক্তস্রোত ঝরে যাওয়া স্বধীনতার মুক্ত জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে মুক্তিযোদ্ধা ও বিশ্ব-মানবতার বাস্তব জীবন জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে চলমান সময়ের ত্যাগী দেশপ্রেমিকের শত শত আর্দশ দেশপ্রেমের জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে ইতিহাসের পাতায় পাতায় ও মহাকালের দীর্ঘ জীবন জিজ্ঞাসায়?
কি জবাব দেবে সত্য বুদ্ধিজীবী ও জ্ঞানী পণ্ডিতদের দেশপ্রেমের জিজ্ঞাসায়?
তৃণমূল কর্মীরা ও তাদের ত্যাগের কর্ম বার বার বঞ্চিত হয়।
কিন্ত ভেবে দেখো ওই তৃণমূলদের ত্যাগের বিনিময়ে, তোমরা হচ্ছো অর্থ বিত্ত ও বড় বড় অট্রালিকার মালিক কি আজব বিস্ময়!
অথচ তোমাদের আচারণ কেন হয় হিংস্র পশুর মতো নিষ্ঠুর?
তোমাদের পাপগুলোতো বহন করে অনাগত সময়ের ক্ষোভ ধ্বংস আর হাহাকার।
একদিন নৈঃশব্দের গভীর আঁধার ভেঙে সময় হয়ে উঠবে কঠিন নির্মম ও নিষ্ঠুর,
তখন প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য প্রস্তত হবে ন্যায়পরায়ণ দেশপ্রেমিকদের সংস্কার।
তোমাদের পাপগুলো তোমাদের দেহটাকে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলে রাখবে রাস্তায় জীর্ণ শীর্ণ।
অপমান অপবাদ লজ্জা আর মানব জাতির ঘৃণার মুখোমুখি তোমরা হবে দীনহীন।
হে ভন্ড বুদ্ধিজীবীগণ আর হে ভণ্ডপণ্ডিত ও কালো তালিকাভুক্ত গডফাদাররা শোন,
সাবধান! সাবধান! সর্তক সাবধান! দরজার আডালেও
সাবধান!
অধর্মের জঙ্গিবাদরাও সাবধান মদদ দাতারাও সাবধান
মহান রাষ্ট্রের অসৎ আমলা ও দূর্নীতিবাজ কর্মচারীরাও সাবধান!
শিঘ্রই কালো দেয়াল ভাঙ্গবে ন্যায়পরায়ণ স্বদেশ নক্ষত্র বিশ্ব-মানবতার দেশপ্রেমিক জননী!
সত্য জ্ঞানী মুমিন ও বিজ্ঞ পণ্ডিতরাই দেশপ্রেমের মহান সংস্কারক,দেশের আইন যে সবার জন্যই সমান।