নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কালিকাবর বেরীবাঁধ ভেঙে প্রায় দুইশতাদিক ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীনের শঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। রবিবার সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ওই ইউনিয়নের গাঁওকান্দিয়া গ্রামের মকিম আলী সরকারের বাড়ি থেকে দক্ষিন দিকে ইব্রাহীম মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত নদীর বেরীবাঁধের এগার শত ফুট রাস্তা সংলগ্ন ঘেষে গড়ে উঠা ঘর-বাড়ি চরম ঝুঁকিতে দিনাতিপাত করছে। ওই বেরীবাঁধের মকিম সরকারের বাড়ির পাশে ঢলের ¯্রােতে নিচ দিয়ে বিশাল আকারের গর্ত তৈরী হচ্ছে। আর উপর থেকে বিশাল আকৃতির মাটির চাকা দপ দপ করে নদীতে ঢলে পড়ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আশপাশের বসতিদের শঙ্কা আর উৎকণ্ঠায় সময় পার করছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বেরীবাঁধ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন ও উর্দ্ধতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। ওই জনপ্রতিনিধি নিজ উদ্যোগে একশত বাঁশ কেটে বাঁধের পাশে জমাট করেন। স্থানীয়দেরকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক বাঁধ রক্ষায় তিনি কাজ করছেন বলেও জানা যায়। ওই বেরীবাঁধটি ভেঙে গেলে ঐখানকার বেশক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা,একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, গাঁওকান্দিয়া বাজার,ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় সহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। অনেক অসহায় পরিবার ভিটে বাড়ি হারানোর চরম শঙ্কায় ভুগছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, সোমেশ^রী নদীতে বন্যার পানি আসলেই গাঁওকানিদয়া ইউনিয়নের এ বেরীবাঁধটি থেকে প্রায় ৫-৭ কিলো রাস্তার নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। প্রায় দুইশতাধিক ঘর-বাড়ি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোন সময় নদীতে এসব ঘর-বাড়ি ধসে যেতে পারে। আমি উপজেলা প্রশাসনকে এ বিষয়টি অবহিত করেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোনা জেলার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রহিদুল হোসেন খান জানান,কালিকাবর বেরীবাঁধটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে রিপোর্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাটিয়েছি। আশা করছি অচিরেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।