মহামারী রোগ নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যভেজাল প্রতিরোধসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে ২২’শ প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য জনবল রয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জঠিলতা, রোগপ্রতিরোধের কার্যক্রম বিস্তৃতিতে অনীহা ও জনস্বাস্থ্যের অব্যবস্থাপনার কারণে ২০০৯ সাল থেকে এই জনবলকে পদায়ন করা হচ্ছে না। জনবল তৈরির পেছনে সরকারের হাজার কোটি টাকা ব্যয়-বিনিয়োগ থাকলেও এবং প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ১৯৭৩ সালের পর থেকে স্যানিটারী ইন্সপেক্টরের নতুন পদ-সৃজন না থাকায় সরকার এই দক্ষ-জনবলকে প্রশিক্ষণ অনুযায়ী জনকল্যাণে কাজে লাগাতে পারছেন না। দক্ষ স্বাস্থ্যজনবলের অভাবে বৈশ্বিক মহামারী কভিড-১৯ মোকাবেলায় দেশের মাঠপর্যায়ে রোগপ্রতিরোধ কার্যক্রমে ব্যাপক শূন্যতা বিরাজ করছে। জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচার প্রচারনার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। স্বাধীনতা সেনিটারিয়ান পরিষদ এই দক্ষ জনবলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কভিড-১৯ মোকাবেলার কাজে লাগানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে আবেদন দাখিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। কর্মসূচি অনুযায়ী ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিষ্টরা (স্যানিটারী ইন্সপেক্টর) সমগ্র দেশের স্ব-স্ব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে পদায়নের দাবি জানিয়ে আবেদন দাখিল করেছেন। এ ব্যাপারে স্বাধীনতা সেনিটারিয়ান পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এ এফ জুনায়েদ আহমদ ও সদস্যসচিব এনামুল হক মোল্লার সাথে আলাপ করে জানা যায়- দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার অধীনে মাঠপর্যায়ে রোগপ্রতিরোধ কাজের জন্য তৈরী করা এই জনবল ছাড়া আর কোনো দক্ষ জনবল নেই অথচ দীর্ঘদিন থেকে এসকল পাশকরা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট স্যানিটারী ইন্সপেক্টরদের পদায়ন না করে প্রহসনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসন। তাই আমরা এই বিষয়ে এবং জনস্বার্থে প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশে এসকল দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের কভিড-১৯ প্রতিরোধী কাজে লাগানোর দাবি জানিয়েছেন।