মৌলভীবাজারে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে শহরের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির এর ৫,১,১৫ টাকা হাতিয়ে নিল একটি প্রতারক চক্র। জানা গেছে- বিকাশ গ্রাহকদের অসতর্কতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নানা কৌশলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রের সদস্যরা। সুলভ মূল্যে ফ্ল্যাট, প্লটের অফার, অপহরণ, মানবপাচার, চুরি, হ্যাকিং, সিম রিপ্লেস, ন্যাশনাল আইডি জালিয়াতি, জিনের বাদশা অফার, বিকাশ অ্যাকাউন্ট সক্রিয় করা, লটারিতে বিজয়ী বলে টাকা পাঠানোর অফার দেয়া হয়। ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে টাকা ফেরত চাওয়ার ঘটনাও বাড়ছে নতুন করে। কিছু মানুষ লোভে পড়েও প্রতিনিয়ত এসব প্রতারণার ফাঁদে পা রাখছেন। এসব ঘটনায় প্রতারিত হয়ে অনেক মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে। তবে যারা সচেতন ও সতর্ক থাকছেন তারা বেঁচে যান এই প্রতারণার ফাঁদ থেকে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগণদের সাথে প্রতারনা করছে। বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা/এরিয়া ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ অ্যাপ্স ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারক চক্র, অনেক সময় পিন কোড সংগ্রহ ব্যতীতও বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হুমায়ুন কবির জানান- তার মুঠোফোন (বিকাশ ০১৭১৫-১১১০৭৮) এর টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখেন একাউন্ট এ কোন টাকা নাই। সাথে সাথে মৌলভীবাজার বিকাশ এজেন্টের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জনালে দেখা যায়, বিগত ২৪/০৬/২০২০ইং ২০.৪৬ মিঃ প্রতারক চক্রের ০১৮১৬-৭৩৮০২৪ নামীয় একটি বিকাশ নাম্বারে ৪০৯৬ টাকা সেন্ট মানি হয়ে চলে গেছে। তিনি আরো জানান- একই ভাবে বিগত ১০/১২/২০১৯ইং প্রতারক চক্রটি ভিন্ন কৌশলে (প্রতারকদের ভিন্ন নাম্বার ০১৬৪২-৭৭০৩১৫) দিয়ে ১০১৯ টাকা হাতিয়ে নেয়।