নাটোরের সিংড়ার চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভোলার উদ্যোগে জমে উঠেছে সাপ্তাহিক নতুন গবাদী পশুর হাট। উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের বৃহত্তম ধান হাটি নামে পরিচিত জামতলী হাটে প্রতি শুক্রবার নতুন এই গবাদী পশুর হাট বসছে। শুক্রবার সাপ্তাহিক হাটের প্রথম দিন সরেজমিনে হাট ঘুরে দেখা যায় দুর দরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা বিক্রেতা হাটে এসেছেন। নতুন হাট হিসাবে হাটুরে মানুষের মধ্যে একটা ভিন্ন মাত্রার উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা গেছে। নাটোর তেবাড়িয়া থেকে ৮ টি গরু নিয়ে আসা সেকেন্দার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, নতুন হাটের কথা শুনে এসেছি। দাম দর হচ্ছে। সঠিক দাম হলে বিক্রয় করবো। উপজেলার মহেশ চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে আসা ওয়াজেদ মিয়া জানান, ৬ টি গরু হাটে এনেছিলাম। এর মধ্যে একটি ষাড় গরু ৪৭ হাজার টাকায় বিক্রয় করেছি। বাড়ির উপর ঢাকার ব্যবসায়ীরা দাম বলেছিল ৪২ হাজার টাকা। সেই তুলনায় নতুন এই হাটে দাম বেশি পেয়েিেছ। বগুড়া শেরপুর থেকে ৪ টি মহিষের বাচ্চা এনেছেন ইয়াছিন নামের এক মহিষ ব্যবসায়ী। ইয়াছিন বলেন মহিষের বাচ্চা ক্রেতা এখানে খুবই কম। তাড়াশ উপজেলা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ী রফিক ও জামাল উদ্দিন বলেন,নতুন হাট হিসাবে অনেক গরু উঠেছে। সাশ্রয়ী দামে ২ টা বাছুর গরু কিনেছি।হাটোর ইজারদার মোঃ ওমর ফারুক বলেন, আমরা এই হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সব রকম সুবিধে দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রতি শুক্রবার নিয়মিত হাট বসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী হাট কমিটিরি সিদ্ধান্ত নিয়ে সপ্তাহে ২ দিন হাট বসানো হবে বলে তিনি দাবি করেন।হাটের উদ্যোক্তা চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ভোলা বলেন, শস্যভান্ডার নামে খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত এই জামতলীর হাট ধান কেনা বেচার জন্য বিখ্যাত। এখানে সপ্তাহে সোম ও শুক্রবার হাটবার। হাটবারে দুর দুরান্ত থেকে অনেক লোকজন আসেন। পাশের নন্দীগ্রাম উপজেলার উমরপুর ও রনবাঘায় গবাদী পশুর হাট থাকলেও আমাদের সিংড়া উপজেলায় একমাত্র সিংড়ার হাট ছাড়া গবাদী পশুর আর কোন হাট নেই। তাই এলাকাবাসীর র্দীঘ দিনের প্রত্যাশা ও চাহিতা পুরনের লক্ষেই জামতলীতে গবাদী পশুর এই নতুন হাট বসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।