নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে শহরের হরিশপুর এলাকায় ঢাবির মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার ঘটনায় মূল আসামি সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক এবং শশুর জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে নাটোরের সীমান্ত এলাকা বাঘা থেকে মোস্তাককে এবং শ্বশুর জাকির হোসেন কে নন্দিগ্রাম থেকে বৃহ¯পতিবার (২৫ জুন) ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।পুলিশ সুপার আরও জানান, নিহতের মা বাদি হয়ে মামলা দায়েরের পর ঐ রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকার বাড়ি থেকে শাশুড়ি সৈয়দা মালেকা ও ননদ জাকিয়া ইয়াসমিন জুথিকে গ্রেফতার করে। তখন থেকে পলাতক ছিলেন সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক ও শশুড় জাকির হোসেন। আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের আটটি ইউনিট কাজ করে বলে জানান তিনি।থানায় অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শশুর বাড়ি থেকে চাহিদামত টাকা না পাওয়ায় বেকার মোস্তাক বেপরোয়া হয়ে উঠে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বার বার চাপ দেয়। কিন্তু বাবার মৃত্যূর পরে সুমাাইয়া তার স্ট্রোকে আক্রান্ত মায়ের কাছে টাকা না চেয়ে নিজেই কিছু একটা করার চিন্তা করছিল। এজন্য সে প্রস্তুতি নিচ্ছেল বিসিএস পরীক্ষায় অংেশ নেওয়ার। মেধাবী সুমাইয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের ইসলামী স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী ছিল ।সে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম ম্রেণিতে উত্তির্ণ হয়। গত বুধবারে øাতকোত্তর পরীক।সিজিপিএ ৪ এর মদ্যে ৩.৪৪ মার্ক পেয়ে প্রথম শেণিতে উত্তির্ণ হন। কিন্তু এই ফলাফল পাওয়ার আগেই সুমাইয়াকে চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। সুমাইয়াকে হত্যার পরে এটি আÍ হত্যার ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করে সুমাইয়ার শমুরের পরিবার।তারা জানান, গলায় ফাসঁস দিয়ে সুমাইয়া আÍহত্যা করেছে। কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে সব কিছু জানতে পেরে সুমাইয়ার মা সোমবার গভীররাতে নাটোর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।