সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় কর্মহীন হতাশাগ্রস্ত যুবক এনামুল হক সুইট গলায় ফাঁস নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে আত্মহত্যা করেছে। উচ্চ শিক্ষিত যুবকের কর্ম না থাকায় পরিবারের সদস্য ও স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ভালো ছিলো না। ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পারিবারিক ভালোবাসার অভাব ও হতাশাগ্রস্ত লেখা পোষ্ট করত প্রায়ই। এনামুল উপজেলার আতাইকুলা থানার বামনডাঙ্গা গ্রামের অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আতাউর রহমানের ছেলে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক সুইট পাবনা সরকারী এ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে প্রথমে য়িাপুর হাজী
জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেনে। পরে স্ত্রীসহ ঢাকায় একটি বে সরকারী হাসপাতালে চাকুরী করেন। করোনা
কালিন সময়ে এনামুলের চাকুরী না থাকায় সে বাড়িতে চলে আসে। তার স্ত্রী পাবনা সদর হাসপাতালে সেবিকার চাকুরীতে যোগদান করেন। ভালো কর্ম না থাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বাবা, মা ও স্ত্রীর সাথে ভালো সম্পর্ক যাচ্ছিল না। ঘটনার দিন রাত ১টার দিকে নিজ ঘরের জানালার সাথে রশিতে
এনামুল হক আত্মহত্যা করে।
এনামুল তার ফেসবুকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হতাশার কথা পোস্ট করেছেন। তিনি একটি পোস্টে লেখেন-যদি আমি হারিয়ে যাই দুরের দেশে……। নাম না জানা পথের শেষে, খুব বেশি সময় নিবে কি আমায় ভূলে যেতে? জানি ভূলে যাবে অচেনা ভেবে।
তিনি আর লেখেন, আমরা প্রতিদিন কোন না কোন লক্ষ্যের পিছনে ছুটছি….। আর সেই লক্ষ্য পূরণের কিছু আগে জীবন আমাদের ছুটি দিচ্ছে।
অনেকেরই ধারনা এনামুল ভালো কর্ম না পাওয়ায় তার পারিবারিক জীবন ভালো
যাচ্ছিল না। কর্মহারীয়ে সে হতাশা গ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আতাইকুলা থানার এসআই সুভাশ চন্দ্র জানান, লাশ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।