বীরগঞ্জে দেড় কিলোমিটার কাঁদা-ময়লা পানিতে চলাচলে ৩টি গ্রামের হাটুরে-কৃষক, ছাত্রছাত্রীসহ হাজার হাজার মানুষেরভোগান্তি চরমে উঠেছে। উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের রহিম বখ্স উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক থেকে ভাবকী গ্রাম হয়ে শীতলাই পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তার বেহাল দশা দূর্ভোগে দুর্ভোগের শেষ নেই।
বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তটি কাঁদা ও ময়লা পানিতে ডুবে যায়। এতে ভাবকী-কালাপুকুর ও শীতলাই গ্রামের মানুষের চলাচলের যান-বাহন, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, রোগি পরিবহনের এ্যাম্বুলেন্স রিক্স-ভ্যান, নসিমন-করিমন, অটো বাইক-পাগলু, মটরসাইকেল-বাই সাইকেল, স্কুল-
কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী এমানকি সাধারন মানুষের পায়ে চলাচল করা কষ্টকর ব্যাপার। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে বীরগঞ্জ সরকারী কলেজ, মহিলা কলেজ, কবিরাজহাট কলেজ, বীরগঞ্জ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতন, দেবীপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শীতলাই আলিম মাদ্রাসা, দামাইক্ষেত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রহিম বখ্স উচ্চ বিদ্যালয়, কবিরাজহাট আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভাবকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বীরগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলতি শিশু, বালক/বালিকা ও
বিভিন্ন কলেজ পরুয়া চাত্রছাত্রীদের স্কুল কলেজ ও মাদ্রসার একটি পথেই চলাচল করতে হয়।
বিকল্প পথে যেতে হলে ৪/৫ কিলোমিটার রাস্ত অতিক্রম করে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রসায় যেতে হয়। কৃষক ব্যবসায়ী এনজিও কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিদ্যালয় ছাত্র ছাত্রীরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কাদা-পানিতে পরে গিয়ে ড্রেস (জামা-কাপড়) ভিজিয়ে বাড়ী ফিরতে হয়। চাত্রছাত্রীরা কাঁদা-পানির ভয়ে নিয়মিত স্কুল যেতে চায় না। কৃষক মাঠের ধান ঘরে বা হাটে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়া একটি বিরম্বনা বটে ৪/৫ কিলো মিটার পথ অতিক্রম করতে অনেক বেশী মাসুল গুনতে হয়। শাক-স্বজী, আলু-বেগুনসহ অন্যান্য স্বজী হাট-বাজাওে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর ব্যাপার।
গত ১৯ জুন ভাবকী সোনার বাংলা যুব উন্নয়ন ক্লাবের সদস্যরা মিলে রাস্তাটির কাদাগুলো
ট্রেনে দিয়ে পরিস্কারের চেষ্টা করেছে। ভাবকী-কালাপুকুর ও শীতলাই গ্রামের হাজার হাজার
মানুষের চলাচলের মাটির রাস্তাটি অগ্রধিকার ভিত্তিতে পাকা করনের জন্য এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের আশু হস্তক্ষেপের জোর দাবি জানিয়েছে তারা।