নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরে একজন চিকিৎসকসহ আরও আটজনের কোভিড-১৯ এ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল
বুধবার রাতে তাঁদের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ’ ফলাফল আসে। এ ঘটনায় একটি কমিউনিটি ক্লিনিক লকডাউন করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ এর সংখ্যা দাঁড়াল ৯৬ জনে। তবে ৫১ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার একজন চিকিৎসক কয়েক দিন
আগে নমুনা পরীক্ষা করাতে দিয়েছিলেন। গতকাল রাতে ঢাকা থেকে জানানো হয় তিনি
‘পজিটিভ’। তবে ফলাফল নাটোরে পৌঁছার আগেই তিনি ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে মিলিত
হয়েছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে শুরু করেছেন।
গতকাল আরও সাতজনের করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজন বড়াইগ্রামের দাড়িখৈর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ প্রভাইডার রয়েছেন। রাতেই বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসন ওই ক্লিনিকটি লকডাউন ঘোষণা করেছে।
এ ছাড়া গুরুদাসপুরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের একজন আয়া ও তাঁর স্বামী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। বাকিদের মধ্যে নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার এক গৃহবধূ (একজন চিকিৎসকের বোন), চাঁদপুর এলাকার একজন বিপণন কর্মকর্তা,
গুরুদাসপুর উপজেলার এক বালু ব্যবসায়ী ও বড়াইগ্রামের চান্দাই ইউনিয়নের এক রাজমিস্ত্রি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, শনাক্তদের নিজ নিজ বাড়িতে
আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত জেলার ৯৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। একজনের ফলাফল আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।