মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গরু, মহিষ ও ছাগলের মাংস। কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাজারেই প্রতিদিনই মাংস ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে বিক্রি করেন। প্রতিটি পশু নির্দিষ্ট জবাইখানায় জবাইয়ের কথা থাকলেও পৌর এলাকায় জবাইখানা না থাকায় নিয়মনীতি না মেনেই যত্রতত্র পশু জবাই করে আসছেন কসাইরা। বাজারে নিম্নমানের অসুস্থ পশু জবাই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এলাকার সচেতন মহল বলছেন, এসব গবাদিপশুর বিভিন্ন জটিল রোগ থাকতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশু জবাই করা এবং বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয়। এ আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় দিয়েই বাজারে জবাই হচ্ছে গবাদিপশু।
সুমন নামের একজন ক্রেতা বলেন, বর্তমানে দেশে গুরুর মধ্যে গুটি ভাইরাস সংক্রমণের দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে জবাইকৃত পশুটি সুস্থ ছিল নাকি অসুস্থ ছিল আমরা তা যেভাবে ব্যবসায়ীরা জানে ঠিক একই ভাবে আমরা জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা থাকলেও কসাইরা তা নিচ্ছেন না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যায় না। ফলে ক্রেতারা মাংস কিনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে হচ্ছে। পৌর শহরের বাসিন্দা কায়েস আহমেদ বলেন, লোকজন মরা গরুর মাংস খাচ্ছে না কি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
এবিষয়ে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী জামাল আহমেদ বলেন, আমরা গরুর পরিক্ষা করানোর জন্য পৌর মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম, তখন পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেছেন আমাদের পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাই তাই কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবে আমি পরিক্ষা করে দিয়েছি। মেয়র সাহেব কি ডাক্তার এ প্রতিনিধি গরু ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আপনি গিয়ে উনাকে জিজ্ঞেস করেন।
এবিষয়ে কমলগঞ্জ পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীর কথাটি সঠিক নয়। আমি কসাইদের বলেছি নিয়মনীতি অনুযায়ী পশু জবাই করার জন্য।
এবিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ডাঃ মোঃ হিদায়াতুল্লাহ বলেন, কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় কোথাও স্বীকৃতি প্রাপ্ত কোন কসাইখানা নাই তাই এই কাজটি আমাদের নয়।