প্রাণঘাতি নবেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিনদিন বেড়েই চলেছে।
মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে নাটোরের গুরুদাসপুরেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
উপজেলার ব্যস্তততম চাঁচকৈড় বাণিজ্যনগরীতে নমুনা পরীক্ষা না করেই করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেকেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা নিয়ম না মেনে পাড়ামহল্লায় দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে লম্বা হচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
এ পরিস্থিতিতে থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিভিন্ন
প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে দিনেরাতে পুলিশের টহল অব্যাহত থাকলেও মনেপ্রাণে সতর্ক হচ্ছেনা মানুষ। থানার উদ্যোগে উপজেলার দোকানপাটগুলোতে ‘এক ক্রেতা এক বিক্রেতা’র পদ্ধতি চালু করলেও কেউ তা মানছেন না।
স্থানীয় সচেতন অনেকেই জানান, পুলিশ টহলের সময় মানুষ কিছুটা নিয়ম মানলেও চলে গেলে আর মানেনা। অর্ধেক সাটার বন্ধ করে কারো কারো দোকান রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। এসব দোকানপাট বন্ধ করতে মাঝেমধ্যেই পুলিশকে মাঠে নামতে
হয়। এ কঠিন অবস্থা চলতে থাকলে এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে প্রকট হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৫০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৩৪ জন নেগেটিভ এবং ১৬ জনের করোনা পজেটিভ আসে। বাকী ৫৩ জনের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। আক্রান্তদের মধ্যে ৬জন সুস্থ হয়েছে। কিন্তু চাঁচকৈড় বাজার এলাকাতে আক্রান্ত ৬জনের মধ্যে ৫জনই
ব্যবসায়ী হওয়ায় আতঙ্ক কমছেনা।
ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, মাস্ক ব্যবহার না করায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিভিন্নস্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তারপরও মানুষ আশানুরুপভাবে সচেতন হচ্ছেনা। যার ফলে সংক্রমণ বাড়ছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসন সর্বদা মাঠে রয়েছে। ওষুধের দোকান ব্যাতিত বিকেল ৪টার পর অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।