অপরাধীর কোন দল বা মত থাকেনা তাই বগুড়ার সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে অন্যায় করলে সে যেই হোক না কেন কাউকেই বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা মর্মে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার)।
মঙ্গলবার বিকেলে শহরের আকাশতারা বগুড়া কলেজের হলরুমে বগুড়া সদর থানার আয়োজনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপোরোক্ত কথাগুলি বলেন। হঠাৎ করেই বগুড়ায় গত কয়েকদিনে আকাশতারা এলাকাসহ সদরে বেশ কয়েকটি হত্যাকান্ডের মতো অপরাধ সংগঠিত হয়েছে যার দরুণ স্থানীয় জনগণদের নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় জেলা পুলিশ সুপার আরো বলেন, বগুড়ায় কোন চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবেনা। ইতিমধ্যেই বগুড়ায় মাদকের সাথে যুক্ত বড় বড় রাঘব বোয়ালদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এই করোনাকালেও অভিযান চলমান রয়েছে। যেসব অপরাধ ইতিমধ্যেই সংগঠিত হয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে অনেক আসামীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তবে ভবিষ্যতে যেন কোন ধরণের অপরাধের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই লক্ষ্যে তিনি উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে সকলের কাছে কঠোর বার্তা পৌঁছে দেন। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম বদিউজ্জামান এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং যুব সংগঠক ও গণমাধ্যমকর্মী সঞ্জু রায়ের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম ইকবাল, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাস, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার রায়, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওসমান গণি, সমাজসেবক বেলাল হোসেন নান্নু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক পরিমল প্রসাদ রাজ, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রতন প্রমুখ। এসময় জেলা পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা, নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জামিরুল ইসলাম, এস.আই বেলাল হোসেন প্রমুখ। সভায় এলাকাবাসীর পক্ষে জেলা পুলিশের কাছে পূর্ব বগুড়ার বর্তমান কিছু উল্লেখযোগ্য সমস্যা যেমন অবৈধ বালু ব্যবসা, বাড়ি করতে গিয়ে চাঁদাবাজির স্বীকার হওয়া, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় উত্তেজনা সৃষ্টি, সন্ত্রাসের শিকড় উপরে ফেলাসহ তাদের চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে সঠিকভাবে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে সহযোগিতা কামনা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা নিজেই সকল সমস্যা কঠোর হস্তে দমনের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই লক্ষ্যে তিনি গোপনে সরাসরি তাকে যেকোন তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহব্বান জানান যদিও তিনি দ্রুততম সময়ে বগুড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযোগ বক্স স্থাপনের কথা বলেন। সেই সাথে সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিতের লক্ষ্যে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যাপারেও তিনি সভায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে করোনার মাঝেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক রাখতে তিনি জেলা পুলিশের পক্ষে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।