বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা: সামির হোসেন মিশু বলেছেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতন থেকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে হবে। সকল নেতিবাচক দিককে পরিহার করে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিতে নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) বগুড়া শাখার আয়োজনে এবং জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগিতায় মঙ্গলবার শহরের সেউজগাড়ী সেচ্ছাসেবী এই প্রতিষ্ঠানের নিজ কার্যালয়ে ২দিন ব্যাপী করোনাকালে জরুরী পরিস্থিতিতে যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্য এমআইএসপি প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপোরোক্ত কথাগুলি বলেন। অনুষ্ঠানে ডা: মিশু আরো বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই সাথে বেড়েছে গর্ভপাতের সংখ্যাও। তাই এসময় যৌন এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে সকলকে আরো সচেতন হতে হবে। সেই সাথে করোনা পরিস্থিতিতেও সাধারণ ছুটির মাঝেও নিরলস ভাবে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার যে মহৎ কাজ এফপিএবি করে গেছে এবং বর্তমানেও করছে তার জন্যে তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এফপিএবি বগুড়া শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য আতিকুর রহমান মিঠুর সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফপিএবি এর জেলা কর্মকর্তা অরুণ কুমার শীল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বগুড়ার সহকারী পরিচালক ডা: সামসী আরা বেগম এবং বগুড়া ও করোনা পরিস্থিতি’র সমন্বয়ক গণমাধ্যমকর্মী মেহেরুল সুজন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন এফপিএবি জাতীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা: সঞ্জীব আহমেদ। প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আব্দুল আওয়াল এবং ইসরাত জাহানের সার্বিক পরিচালনায় সামাজিক দূরত্ব মেনে খুব স্বল্প পরিসরে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৪ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, করোনার প্রাদুর্ভাব দেখার সাথে সাথেই সম্মুখ সারিতে থেকে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারী সেচ্ছাসেবী এই সংগঠন। যার লক্ষ্যে করোনার মাঝেও সাপ্তাহিক ইপিআই এবং মা ও শিশুর সাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জন্মনিরোধক সকল সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের অলিগলিতে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক হ্যান্ড মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার, এখন পর্যন্ত দশ হাজার লিফলেট বিতরণ, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতনসহ সেচ্ছাসেবীদের অনুদানে ৬০টি পরিবারের মাঝে ৪দিনের খাবার বিতরণ সহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এফপিএবি।