পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টে মৃত আজহার উদ্দিনের শরীরে করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) ছিলনা বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার করোনা নেগেটিভ ফলাফল ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনকে জানায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম। এদিকে ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নিত ভাঙ্গুড়ায় এপর্যন্ত এক নারী চিকিৎসক সহ ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সাতজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন জানায়, ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের উত্তর সারুটিয়া মহল্লার বাসিন্দা আজহার উদ্দিন সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের নিরাপদ ক্লিনিকে চিকিৎসককে দেখাতে যান। সেখানকার চিকিৎসক রাজু আহমেদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শরীরে করোনা উপসর্গ পেয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু আজহার উদ্দিন পাবনা সদর হাসপাতালে না গিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যান। এর কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরদিন শুক্রবার স্বাস্থ্যকর্মীরা তার নমুনা সংগ্রহ করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরা তাকে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করেন। এছাড়া নিহত ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়ি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ভাঙ্গুড়ায় আরো এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। গত ১২ তারিখে তিনি ভাঙ্গুড়ায় আসেন। পরে ১৪ তারিখে তার নমুনা রাজশাহীতে পাঠানো হয়। ওই যুবক বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, সর্দিজ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়া আজহার উদ্দিনের শরীরে করোনা ভাইরাস ছিল না। তিনি পূর্বে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার নিহত আজহারউদ্দিন ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে।