প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে যে গভীর আঁধারে নিমজ্জিত এই পৃথিবী, সে আঁধার ভেদ করে আমরা নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসব এক নতুন দিনের সূর্যালোকে। মনে রাখতে হবে, দুর্যোগেই হয় মনুষ্যত্বের পরীক্ষা। এ ভাইরাস মোকাবিলাও একটি যুদ্ধ। এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করবই, ইনশাআল্লাহ।’
সোমবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপের কারণে মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে উন্নত অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত, মৃত্যুর হার অনেক কম। আমাদের এই মুহূর্তের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এই প্রাণঘাতী ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করা এবং অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি এবং ব্যক্তিগতভাবে মাঠপর্যায়ে এর বাস্তবায়ন তদারকি করছি।
২০২০ সালে আমাদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ বছর উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিব বর্ষ উদযাপন করছি। এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে আমরা পরিকল্পনামাফিক অনুষ্ঠানসমূহ উদযাপন করতে পারছি না। জনগণের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান আমরা স্থগিত করেছি। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। তবে আমি সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারি, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা তারই আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।’
এসএসএফের সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুযোগ্য নেতৃত্বে সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং এই বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফের উত্তরোত্তর উন্নতি অব্যাহত থাকবে। শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং পেশাগত মান বিচারে এই বাহিনী হয়ে উঠুক একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনী। ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমি এই প্রত্যাশা করছি।’