কালিগঞ্জের পল্লীতে স্ত্রী সন্তান থাকতে পরকীয়ায় জড়িয়ে এক প্রধান শিক্ষক আর এক প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় বেরসিক জনতা ঘরে তালা দিয়ে আটকিয়ে গণধোলাইয়ের পর মুচেলিকায় মুক্তি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৫ জুন সোমবার দিবাগত রাত ১টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের বাগদাড়িয়ালা গ্রামে প্রধান শিক্ষক জগোবন্ধু রায়ের বাড়িতে এঘটনা ঘটে। সরেজমিনে জানা যায়, ভাগ দাড়িয়ালা গ্রামে বাড়ি গোয়ালপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগো বন্ধু রায় সাংবাদিকদের জানান তিনি তার মা এবং স্ত্রী লতা রাণী রায় কে নিয়ে দুই তলা ভবনে বসবাস করেন। আমার সহকর্মী মৌখালী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুস সামাদ সরদারের পুত্র ড্যামরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম, গোলাম রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া চালিয়ে আসছিল। আমি সকালে স্কুলে চলে যাওয়ার পর লম্পট শিক্ষক গোলাম রহমান স্কুলে না গিয়ে আবার কখনও কখনও স্কুলে হাজিরা দিয়ে কালিগঞ্জে শিক্ষা অফিসের নাম করে আমার বাসায় এসে বৃদ্ধা মায়ের রুমে তালা দিয়ে নিজেরা দিনের পর দিন অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল। আমি গত ৩ মাস আগে ছুটি নিয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যেয়ে করোনা ভাইরাসের লক ডাউনে ভারতে ২মাস আটকা পরে থাকি। গত এক মাস আগে আমি বাড়িতে ফিরি, গত রবিবার আমি অসুস্থ্য বোধ করায় বাড়ির ২য় তলায় রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ঘুমাইয়া পড়ি। নিচু তলায় একা থাকার সুযোগে স্ত্রী লতা রানী মোবাইলে তার পরকীয়ার প্রেমিক আমার সহকর্মী শিক্ষক গোলাম রহমান কে ডেকে নেয়। লম্পট শিক্ষক গোলাম রহমান নিজের মটরসাইকেল চড়ে না এসে কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে তার নতুন বাড়িতে বউ বাচ্চা রেখে সাইকেল যোগে ৬ কিঃ মিঃ দুরে আমার বাড়িতে স্ত্রীর ঘরে চলে আসে। বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী বাড়ি ঘেরাও করে আমার নিকট মোবাইল করে। বাড়িতে লোক ঢুকেছে। এমন খবর পেয়ে আমি ২য় তলা হতে নিচে নেমে গেটের তালা খোলা দেখে তাৎক্ষনিক তাদের ঘরে দরজা খুলতে বললে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে সাথে থাকা স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ঘরে তালা আটকিয়ে ব্যাপক উত্তম মাধ্যম শুরু করে। এর পর খবর পেয়ে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জী রাত অনুমান ৩টার সময় ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে এক পর্যায়ে ঘটনা শোনাবোঝারপর মুচেলিকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। এই ভাবে অকপটে কথা গুলো বলছিলেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক জগোবন্ধু রায়। তিনি আরও বলেন আমি একজন শিক্ষক আর আমার সহকর্মী বন্ধু এমন কাজ করতে পারে সেটা ভাবতে অবাক লাগছে। এপ্রসঙ্গে ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সজল মুখার্জী সাংবাদিকদের বলেন আমাকে মিথ্যা বলে রাত তিনটার সময় জগোবন্ধু মাষ্টার লোক পাঠিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। যেয়ে দেখি গণপিটুনি দিয়ে শিক্ষক গোলাম কে বেঁধে রেখেছে। প্রধান শিক্ষক জগোবন্ধুর কথার মত মানসম্মানের কথা চিন্তা করে মুচেলিকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।