বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের প্রথম জানাজা সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পরিবারের সদস্য ছাড়াও দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী অংশ নেয়। পরে তাকে ধানমন্ডি থেকে তার মরদেহ বনানীর উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। বনানী কবরস্থান মসজিদে দ্বিতীয় জানাজার পর মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।
জানাজা শেষে নাসিমকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর তার মরদেহে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা জানানোর পর চিরনিদ্রায় শায়িত হন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।
আজ রবিবার (১৪ জুন) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির সোবহানবাগ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা উপসর্গ নিয়ে ১ জুন ঢাকার বেসরকারি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক হয় তার। অস্ত্রোপচারের পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। পরে পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ আসে।
লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের কাজীপুরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বর্তমান সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।
২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।