বগুড়ায় করোনায় মৃত্যুর হিসাব বেড়েই চলছে। শনিবার নতুন করে ৩ জনের মৃত্যু নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১৪ জন করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেলো। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরো ৩ জন। মারা যাওয়াদের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি লাশ স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক লাশ দাফন করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে। বগুড়া করোনা আইসোলেশন কেন্দ্র মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা: শফিক আমিন কাজল জানান, বগুড়া শহরের বারোপুর এলাকার ব্যবসায়ি হারুন অর রশিদ (৭২) নিজ বাসায়, শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মালতিনগরের বিজন কুমার নিয়োগী (৫২) ও বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি এলাকার মমতাজুর রহমান (৭০) ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। মমতাজুর রহমান ৯ জুন বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতলে ভর্তি হওয়ার পর ১২ জুন পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় ১২ জুন রাতেই মারা যায়।এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ২জন। তাদের মধ্যে শনিবার সকালে শাকপালা মোড়ের ইমরান নাজির (৩৬), উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার রাত নয়টায় শিবগঞ্জ উপজেলার রহবলের মোঃ রাব্বি (৪৫) ও রাত ১০ টায় কলোনী এলাকার শামীম আহম্মেদ ভুলু (৫৬) নামের এক ব্যক্তি মারা যায়। শামীম বগুড়া শহরের সাতমাথায় একটি ওষুধের দোকানের ম্যানেজার ছিল। বগুড়ার করোনার জন্য আইশোলেশনকৃত এই হাসপাতালে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ৮ জন। আর নিজ বাড়ি ও বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছে আরো ৬ জন। মােট ১৪ জন জেলায় মারা গেছে। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে মোট ১৭ জন। ১৭ জনের মধ্যে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসেনি।
বগুড়া জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলায় শুক্রবার রাতে নতুন করে ৫১ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ১৪ জন করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছে। মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ১৮৬ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৮৬ জন।