বগুড়ার শেরপুরে তিন এলাকা করোনার ‘হটস্পট’ ঘোষণা বগুড়ার শেরপুরে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দিক বিবেচনায় তিনটি এলাকা ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে ঘোষিত করোনার ‘হটস্পট’ হলো-পৌরশহরের উত্তরসাহাপাড়া, স্যান্যালপাড়া ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা। এসব এলাকায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এদিকে গত চারদিন ধরে এই উপজেলায় করোনা পরীক্ষার কোন রিপোর্ট আসছে না। সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হলেও পরীক্ষার কোন রিপোর্ট আসেনি। ফলে এই রোগে আক্রান্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। একইসঙ্গে তাদের নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা ও বিচরণ ঠেকানো যাচ্ছে না।এতে করে সবশ্রেণীপেশার মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৩জুন) পর্যন্ত এই উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৪জন। এরমধ্যে চিকিৎসক, কিনিকের পরিচালক ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য রয়েছেন। সূত্রটি আরও জানান, এ পর্যন্ত ৫১৯জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠনো হয়। এরমধ্যে ৩৮০টি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকিগুলোর রির্পোটের ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি বলে সূত্রটি জানায়। এদিকে করোনা পরীক্ষার রির্পোটের ফলাফল পেতে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বিগ্ন সচেতন মহল। জানতে চাইলে শেরপুর নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আলহাজ মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু জানান, একজন ব্যক্তি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পর তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাওয়া প্রয়োজন। কারণ রির্পোটের ফলাফল পাওয়া সম্ভব না হলে নতুন করে পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ শনাক্ত রোগী শনাক্ত হবে না। ফলে তারা বাইরে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন। কিন্তু রির্পোাট পাওয়ার পর করোনা পজেটিভ হলে অবস্থা কেমন দাঁড়াবে- এমন প্রশ্ন তুলেন সুশীল সমাজের এই প্রতিনিধি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের বলেন, করোনা মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা সংক্রমণের দিক বিবেচনায় এনে ‘হটস্পট’ চিহিৃত করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়ায় পাঠানো হচ্ছে। তবে কিছুকিছু নমুনাগুলো ঢাকায় পাঠানোর কারণে পরীক্ষার ফলাফল পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলে দাবি করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।