বাবা মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে স্ত্রী-সংসার নিয়ে সুখে-শান্তিতেই দিন কাটছিল প্রবাসি কাওসার মিয়ার। দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া গ্রামের মনি আক্তার (২৫) কে বিয়ে করেন কাওসার। বিয়ের প্রায় ১বছর পর তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে
সৌদিআরব চলে যায় সে। বিদেশ যাওয়ার পরই তাদের সংসারে মহতাসিন বিল্লাহ নামের
একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। স্ত্রী মনি আক্তার স্থানীয় একটি কলেজে বিএ অধ্যয়নরত
হওয়ায় তার সন্তানসহ শাশুরী কে দিয়ে দুর্গাপুর পৌর শহরে বাসা ভাড়া করে থাকার সুযোগ করে দেন কাওসার। এ কাজটিই যেন তার জীবনে বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। এমন এক অভিযোগ করেছেন কাওসার মিয়ার বড় ভাই লাক মিয়া।
অভিযোগ ও কাওসার মিয়ার কাছ থেকে জানা গেছে, সুখের সংসারে হঠাৎ একদিন নেমে আসে কালো আধাঁর। ভেঙে তছনছ হয়ে যায় সুখের সংসার। আর এর জন্য তার স্ত্রীর সাথে দুর্গাপুর পৌর শহরের ৩ সন্তানের জনক, পৌর শ্রমীকলীগ সভাপতি আলাল সর্দারের পরকীয়া প্রেমকেই দায়ী করছেন। ওই শ্রমীক নেতার পরকীয়া প্রেম, বিদেশ থেকে
পাঠানো টাকা-স্বর্নালঙ্কার এবং নারী লোভি লালসা চরিতার্থের কারনেই এমনটা
ঘটেছে। আলাল সর্দার এর পুর্বে ৩টি বিয়ে করেছে। বৈধ ও অবৈধ উপায়ে নানা ভাবে
বিত্তশালী হওয়ায়, সহজ-সরল সুন্দরী মেয়েদের নানা লোভে ফেলে চরিতার্থ করে লালসা। বালু
ঘাটের কুলির সর্দার থেকে রাতের আঁধারেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ায়
শ্রমীকলীগ‘র সাধারণ সম্পাদক পদটি পেয়ে যায় সহজেই। ওই পদের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা
অপকর্মে লিপ্ত হতে পিছন ফিরে তাকাতে হয় না আলাল সর্দার কে। খোঁজ নিয়ে জানা
গেছে, পৌর এলাকায় আলাল সর্দার এর বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখল সহ নিরাপদ সড়কের
দাবিতে আন্দোলন শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগকারী লাক মিয়া বলেন, ২বছর আগে আমার বাবা দুর্গাপুর কাওসার এর বৌ মনিকে দেখতে আসলে শশুর এর সাথে খারাপ ব্যবহার করলে ২দিন পর বাড়ী গিয়ে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আমার ছোট বোন ও তার আত্মীয়রা কাওসারের ছেলেকে দেখতে গেলে তাদের জীবন নাশের হুমকি দেয়া সহ বিদেশে চাকুরিত আমার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে আলাল সর্দার। আমরা এখন ওই কলঙ্কিত বৌ ফেরত নিতে চাইনা। আমার ভাইয়ের টাকা পয়সা, সম্পদ ও স্বর্নালঙ্কার সহ ভাইয়ের সন্তান কে ফেরত দেয়ার জন্য থানায়
অভিযোগ করেছি।
অভিযোগ নিয়ে আলাল সর্দার মুঠোফোনে বলেন, আমাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি মনি আক্তার কে নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছি। বিয়ের পুর্বে কাওসার কে ডিভোর্সও দেয়া হয়েছে। আপনার বয়স ৫৩ আর মেয়ের বয়স ২৫ এ
বিষয়ে জানতে চাইলে আর কিছু বলতে চান না বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ১টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সত্যিই দু:খজনক। এ ব্যপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।