করোনার নমুনা সংগ্রহে ব্যবহৃত এ্যাম্পুল ও স্টিকের অভাবে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা সংগ্রহ বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান নমুনা সংগ্রহ বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডাঃ আসমা খান জানান, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালযের মাধ্যমে প্রেরীত এ্যাম্পুল ও স্টিক দ্বারা সর্বশেষ ১০ই জুন বুধবার পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বুধবার নমুনা প্রদানে ব্যক্তির সংখ্যা বেশী থাকলেও শেষ পর্যন্ত অতি জরুরী ৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হযেছে। এখন শুধূ সিরিয়াল নিয়ে রাখা হচ্ছে। এ্যাম্পুল ও স্টিকের জন্য চাহিদাপত্র দেয়া হযেছে। বরাদ্দ পেলেই সিরিযাল মেনে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ যোগ দিতে আসা ব্যক্তিদের চাপই বেশী বলে তিনি জানান। এজন্য প্রকল্পের পক্ষ হতেও এ্যাম্পুল ও স্টিকের জন্য চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৬৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত ৩৮০ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভে এসেছে। ঈশ্বরদীর করোনা আক্রন্ত আরো ৩ জনের মধ্যে ২ জনের নাটোর ও ১ জনের কুষ্টিয়ার মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার স্বার্থে দ্রুত স্যাম্পুল সংগ্রহ এবং রিপোর্ট পাওয়ার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, রূপপুর প্রকল্পে কর্মরতদের নমুনা সংগ্রহের জন্য পৃথক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পিসিআর ল্যাব বসানোর বিষয়টি রাশিয়া বিবেচনা করছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রিয় পারমাণবিক সংস্থা রসাটম এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের উদ্যোগে জুনের শেষের দিকে করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে রূপপুর প্রকল্পের জন্য পৃথক পিসিআর ল্যাব বসানোর সম্ভাবনা রযেছে।