বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে টিপু মিয়া (২৬) নামের আরো এক যুবক করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এনিয়ে উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭-এ। এর মধ্যে ১৬ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে আবার ৩৬ জন থানা পুলিশের সদস্য।করোনা আক্রান্ত টিপু উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামের বাসিন্দা। উপসর্গ নিয়ে গত ২ জুন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন টিপু। আর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়ার অষ্টম দিনে আজ (১০ জুন, বুধবার) সকালে আসা রিপোর্টে জানা যায় টিপু করোনা পজেটিভ। টিপু করোনা আক্রান্ত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মুসা বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, রিপোর্ট পেতে এখন একটু বিলম্ব হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলায় মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ জনে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে দ্রুত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
বিশ্বনাথ-পনাউল্লা বাজার সড়কে সরকারি গাছ কর্তনের অভিযোগ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ-পনাউল্লা বাজার সড়কের পার্শ্বে থাকা (খাদুয়ার ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে) একটি সরকারি গাছ (রেন্টি) কর্তনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনা অনুমতিতে কর্তন করা গাছটির বাজার মূল্য আনুমানিক ৪৫ হাজার টাকা বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী। করোনার সুযোগ নিয়ে উপজেলার অলংকারী গ্রামের মৃত নূর মিয়ার পুত্র সুলতান মিয়া সরকারি সড়কের পার্শ্বের গাছটি কর্তন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাছ কর্তনের পর আবার গাছের গুড়িটি কচুরিপানা দিয়ে ডেকে রাখা হয় যাতে সহযে কেউ দেখতে পারেন না।গাছ কর্তনের সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর কয়েক জন ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল গাছ কর্তনকারী সুলতান মিয়াকে গাছ কর্তনের কারণ ও প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে চান। তখন সুলতান তাদেরকে জানান উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ‘ভাই ভাই বহুমুখী সমবায় সমিতি’র লাগানো গাছ কর্তন করছেন। আবার সুলতান এলাকাবাসীর অনেককেই জানিয়েছে প্রশাসনের পাশাপাশি অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলেরও অনুমতি নিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মে মঙ্গলবার বিকেল বেলা স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সরকারি গাছটি কর্তন করে সুলতান মিয়া। এনিয়ে এলাকায় জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়। গাছ কর্তনের সাথে সমিতির নাম জড়িয়ে পড়ায় এলাকায় একাধিক বৈঠক হয়। আর সমিতির সদস্যরা অনুমতিহীন কর্তন করা সরকারি গাছের ভাগ-ভাটোয়ারা পাওয়ার আশ্বাস পেয়ে বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ায় লিপ্ত হন। ফলে বিষয়টি প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালেই চলে যায়। তবে প্রশাসনকে তুয়াক্ষা না করেই স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অনুমতিতে সরকারি জায়গায় গাছ কর্তন করা হয়েছে, এবিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর জল্পনা-কল্পনায় যোগ করে নতুন মাত্রা। এব্যাপারে ‘ভাই ভাই বহুমুখী সমবায় সমিতি’র সভাপতি চুনু মিয়া বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সমিতির লাগানো গাছ কর্তন করা হয়েছে। আর অনুমতির কাগজপত্র সুলতান মিয়ার কাছে রয়েছে। সুলতানের দোকানে গেলেই দেখতে পারবেন। আর ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিষয়টি ধামা-চাপা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।গাছ কর্তনের সত্যতা স্বীকার করে সুলতান মিয়া বলেন, ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে সড়কে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। আর সড়ক দিয়ে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতেই সমিতির সভাপতির সাথে আলোচনা করে গাছটি কর্তন করেছি। উপস্থিত সময়ে প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো সম্ভব হয়নি, এজন্য আমরা দুঃখিত। আর ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙ্গে সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও অবহিত আছেন।অন্যদিকে কর্তনকৃত গাছটি ‘ভাই ভাই বহুমুখী সমবায় সমিতি’র লাগানো নয় দাবী করে এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন পূর্বে এলাকার মুরব্বীরা সড়কের পার্শ্বে অনেকগুলো গাছ লাগিয়ে ছিলেন। আর সুলতান মিয়ার কর্তন করা গাছটি সেগুলোর একটি।সরকারি সড়কের পার্শ্বের গাছ কর্তনের অনুমতি প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল বলেন, গাছ কর্তন করার সময় আমি দেখতে পেরে কর্তনকারী সুলতান মিয়াকে প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাই। তখন সে আমাকে জানিয়ে ছিল গাছটি নাকি তাদের সমিতির লাগানো। আর প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই সে গাছ কর্তন করছে। পরবর্তিতে ইউএনও সাহেবের কাছ থেকে জানতে পেরেছি গাছ কর্তনের ব্যাপারে কোন অনুমতি প্রদান করেনি প্রশাসন।গাছটি কর্তনের জন্য কোন অনুমতি প্রদান করা হয়নি জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।