রক্ত বেঁচা বেআইনী হলেও মোঃ জোবায়ের আহম্মদ জলিল এর মালিকানাধীন শ্রীমঙ্গল রোডস্থ নিউ লাইফ ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারে রোগী সাধারণ এর কাছে প্রতিদিন-রাত দূষিত ও ভেজাল রক্ত বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে। মানবিক ও নৈতিক সহযোগীতা এবং রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রাপ্তির জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জণসাধারণকে অবহিত করার লক্ষ্যে ভুক্তভোগী ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের বাগারাই গ্রামের মোঃ জিয়াউর রহমান ৯ জুন বিকালে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে আয়োজিত লিখিত সংবাদ সম্মেলনে জানান- গত ২৯/০৫/২০২০ইং রাত অনুমান ৯ ঘঠিকায় মুমুর্ষ রোগী সরকার বাজার এলাকার (শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন বাবলী বেগম (৩০)) এর জন্য এ পজেটিভ রক্তের প্রয়োজনে উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মোঃ জোবায়ের আহম্মেদ জলিল এর সাথে আলাপ- আলোচনা করি। তিনি জানান- তার মালিকানাধীন “নিউ লাইফ ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার” এ রক্ত পাওয়া যাবে। তখন আমি তার সরল কথায় বিশ্বাস করে ৬ হাজার টাকা দিয়ে দুই ব্যাগ রক্ত ক্রয় করি। আমার রোগীর শরীরে রক্ত দেওয়ার পর পরই বুকের ব্যাথা, মাথা ঘুরানো, সারা শরীরে চুলকানীসহ নানা রখম সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে জানতে পারি, উক্ত ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কোন ল্যাব টেকনোলজিস্ট ছিলেন না এবং উক্ত রক্ত ছিলো ফ্রিজে সংরক্ষিত। দূষিত ও ভেজাল রক্ত দেয়ার কারণে তার অবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। মারাত্মকভাবে রোগাক্রান্ত ও বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ৬ হাজার টাকা দিয়ে রক্ত কিনে রোগী সুস্থ হওয়ার বদলে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মত অবস্থা। যত সময় যাচ্ছে রোগীর অবস্থা অনিশ্চিত এবং ভয়ঙ্কর হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ আমি তাদের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে গত ৩১ মে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তিনি আরো জানান- নিউ লাইফ ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের মেডিসিন পরীক্ষাগার রাকিবুল হাসান স্বাক্ষরিত রির্পোট ছিল ভুয়া। কারণ, ঐ রাকিবুল হাসান “করোনা ভাইরাস মহামারিতে সরকার “লকডাউন” ঘোষনা করলে তার গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়। আর সে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসেনি। বিষয়টি আমারা তার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার আলাপ করে নিশ্চিত হয়েছি। নিউ লাইফ ডায়াগনষ্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের এহেন ভুয়া রির্পোট ও প্রতারণার বিষয়টি একাধিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানসহ তার সহযোগী লোকজন। তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করতে থাকেন। অপ প্রচারের অংশ হিসাবে উক্ত রক্ত “প্রাইম ডায়গনস্টিক এন্ড ব¬াড ব্যাংক” থেকে ক্রয় করা হয়েছে মর্মে অপর এক প্রতিষ্ঠানকে দোষী সাব্যস্থ করে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার করা হচ্ছে।