সিরাজগঞ্জের তাড়াশে আদিবাসী পল্লীতে এক বিধবার ৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ ৪০ বছর পর প্রভাবশালী কর্তৃক জোর পৃর্বক জবর দখল করার
অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৭ই জুন) বিকেলে উপজেলার তালম ইউনিয়নের ধাওয়াপুর গ্রামে । জানা গেছে, ওই গ্রামের অমল চন্দ্র সরকার প্রত্রিকসূত্রে পাওয়া নিজ দখলি জমি স্বামী অমর সরকার মৃত্যুর পর দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে
চাষাবাদ করে আসছে বিধবা স্ত্রী মিথি সরকার । ৪ ছেলে মেয়ে নিয়ে ওই জমি চাষাবাদ করে জীবন সংসার পরিচালনা করছেন তারা আসছে।
এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকটওই জমি দাবি করে বিচার দেয় বিমল সরকার। এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রামে শালিসে শোনামেলা অন্তে উভয় পক্ষকে জমির প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে আগামী একমাস পরে বিচারে দিন ধার্য করে। এদিকে
বিচার কাজ শেষে না হতেই একই গ্রামে প্রভাবশালী বিমল সরকার গ্রামে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রোববার দিনে দুপুরে উক্ত জমিতে জোড় পৃর্বক ধানের চারা রোপন করে জমি দখল করে নেয়। এ সময় বিধবা ও তার ছেলে বাধা দিতে গেলে
তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায় এবং প্রাননাশের হুমকী দেয়। ৪০ বছরের দখলকৃত জমি বেদখল হওয়ায় বিধবা মিথি সরকার
এখন দিশেহারা হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ভুক্তভোগী ওই বিধবা স্ত্রী মিথি সরকার বলেন, আমার স্বামীর রেখে যাওয়া জমি প্রায় ৪০ বছর ধরে আমরা ভোগ দখল করে আসছি। রোববার সেই জমি প্রভাবশালী বিমল সরকার গ্রামে
১৫/২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দখল করে। আমি এখন আমার সন্তানদের নিয়ে কিভাবে চলবো। কোথায় যাব।অপরদিকে জমি দখরকারী বিমল সরকার বলেন, আমাদেও জমির সকল
কাগজপত্র আছে। তাই জমিতে ধান লাগিয়েছি। তবে এত বছর পর তারা কেন জমি দখল করেছেন জানতে চাইলে তার কোন উত্তর দিতে
পারেনি সে।
এ ব্যাপারে তালম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উজ্জামানের বলেন, জমি নিয়ে আমার কাছে বিচার দেয় বিমল সরকার। কিন্তুু করোনো পরিস্থিতি ও দুই পক্ষ কে প্রয়োজনীয়
কাগজ পত্র নিয়ে আগামী মাসে পূনরায় শালিস করার জন্য তারিখ নিধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে জানতে পারলাম যে, বিমল সরকার
থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এরপর কি হয়েছে সেটি আমার জানানেই।