ফেসবুকে পেযে রাতারাতি বৃদ্ধার পাশে দাড়ালো লালমনিরহাট সদর ইউএনও

মাকে বাড়ি থেকে বেড় করে দিল ছেলে। আট মাস ধরে অন্যের বাড়িতে থাকার নেই ঘড় প্রায় ৭০ বছর বযসের বৃদ্ধার। এমন খবর রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হলে তৎখনাত বৃদ্ধা হালিমা বেওয়ার কাছে ছুটে যান লালমনিরহাট সদর উপজেলার    নির্বাহী অফিসার  (ইউএনও) উত্তম কুমার রায়। সোমবার ৮ জুন  বিকালে এমন খবর জানতে পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যান জেলা প্রেসক্লাব লালমনিরহাটের সভাপতি এস বাবু রায় ও সাধারন সম্পাদক বদিয়ার রহমান। সেখানে যেয়ে দেখা যায় বৃদ্ধা হালিমা বেওয়া ৮ মাস ধরে অবস্থান করেছেন তার এক ভাই মাহাবুর রহমন ওরফে মহুবরের বাড়িতে। একটি কুটুরি ঘরে বাস করছেন বৃদ্ধা হালিমা বেওয়া। তার কাছে জানতে চাইলে কান্না জনিতকন্ঠে বৃদ্ধা জানান, তার ১ ছেলে দুই মেয়ে। মেয়ে দুটির বিয়ে দেন। পরে তার স্বামী  আলীমুদ্দিন ইন্তেকাল করেন। ছেলে আব্দুল্যা ওরফে আব্দুলকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। গত দুই বছর আগে ছেলে আব্দুল বৃদ্ধা মা হালিমা বেওয়ার বাবার জমি বিক্রি করে অন্যখানে কিনে দেয়ার নাম করে নিজের নামে নেন। বৃদ্ধা তা জানেন না। এরপর আব্দুল তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন কায়দায় মায়ের উপর নির্যাতন চালান। প্রায় ৮ মাস পুর্বে ছেলে তার স্ত্রীসহ বৃদ্ধামাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়। নিরুপায় হয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন বৃদ্ধা ৭০। দরিদ্র ভাইয়ের আয়ের উপরে পরিবারের মাঝে দিন কাটে বৃদ্ধা (৭০) এর।  এখবরটি ছবিসহ মঙ্গলবার রাত প্রায় ৯টায় ফেসবুকে ভাইরাল  হলে নজরে আসে লালমনিরহাট সদর ইউএনও উত্তম কুমার রায় এর। তৎখনাত তিনি ছুটে যান বৃদ্ধার কাছে। পরে তার ছেলের বাড়ি গেলে ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাবকে বিষয়টি মিটিয়ে দেযার দায়িত্ব দেন এবং বৃদ্ধার সকল সুযোগ সবিধার আশ্বাস দেন। এব্যাপারে লারমনিরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ।  ( ইউএনও)  উত্তম কুমার রায় জানান, বিষয়টি মিটিয়ে না নিলে বৃদ্ধার ছেলের বিরুদ্বে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং বৃদ্ধা যতটুকু সম্বব সুযোগ সুবিধা পাবে।