নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলি গ্রামের বংগাইপার পাহাড়ি টিলার উপরে বনবিভাগের রোপনকৃত সরকারি বাগানের গজারী গাছ
অংশীদারিত্বের নাম করে প্রকাশ্যে কেটে নিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে প্রদীপ সাহা(৪৫) ও রাজীব পাঠান (৩৫) বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার ঘটনাস্থলে গেলে বৃক্ষ নিধনের নির্মম চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অসংখ্য ব্যক্তি জানান, কুল্লাগড়া ইউনিয়নের ওইসব পাহারী ঊঁচু টিলার উপরে বনবিভাগ স্থানীয়
ব্যক্তিদের অংশীদারিত্ব প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিভিন্ন গজারী,সেগুন গাছের চারা রোপন করে। চুরি করে নিয়ে যাওয়া সেই দুটি বাগান দুই হাজার দুই সালের শেষের দিকে লিজ দেন বিনবিভাগ। সম্প্রতি বনবিভাগ প্রতিটি গাছের চারার গায়ে লাল খালি চিহ্নিত খুদাই নম্বর দেয়। প্রতিটি বাগানের গাছ কাটার উপযুক্ত হয়েছে। ওইসব বাগানের গাছগুলি নিলাম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। সেই সুযোগে
বহেরাতলি বাংতির বাজারের পশ্চিমে বংগাইপার টিলার উপরে গজারী বাগানের অসংখ্য মূল্যবান কাঠ বিজয়পুর বনবিভাগের বিট অফিসের প্রহরী আনোয়ার
হোসেনর এর প্রত্যক্ষ মদদে অংশিদারিত্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে এ গাছগুলি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। চোরাকারবারি প্রদীপ সাহার ভয়ে
কেউ মুখ খুলতে পারছেনা। স্থানীয়রা দেখেও না দেখার ভান করছে ওই চোরাকারবারি প্রদীপের ভয়ে। কেউ প্রতিবাদ করলে,তার উপরে চলে অমানুষিক নির্যাতন। নানা ধরণের হয়রানি করা হয় ওইসব ব্যক্তিদের। গজারী গাছগুলি কেটে গাছের লতা-পাতা
দিয়ে কাটা গুরি গুলি ঢেকে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি যেসকল গাছ কাটা হয়েছে,সেইসব গাছের গুড়িতে আগুন দিয়ে আংশিক পুরানোর চেস্টা করছে
চোরাকারবারি। যাতে কেউ বুঝতে না পারে,এটি সম্প্রতি কাটা নয়। নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে বনবিভাগের কাঠ উধাও হয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিচ্ছেন না
বনবিভাগের লোকজন। চোরাকারবারি’র দলনেতা প্রদীপ সাহার নেতৃত্বে বনবিভাগের প্রহরীকে ম্যানেজ করে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে এ বৃক্ষ নিধন।
আবেদিন টিলার উপরে বনবিভাগের নয়শত সত্তরটির বেশি আকাশি গাছ রোপন করা হয়। ওই বাগানের ইজারাদার স্থানীয় জয়নাল আবেদিনের পুত্র রাজিব পাঠান প্রায় শতাদিক আকাশমনি গাছ দিনের বেলায় কেটে নিয়ে যায়। এত করে সরকার লাখ লাখ
টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। অংশীদারিত্বের সুযোগে দিনের বেলায় কাটছে এসব গাছ। দেখেও না দেখার ভান করছে কর্তব্যরত বনবিভাগের লোকজন। অবাধে গাছ কাটার বিষয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ করেও কোন ধরনের প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রকাশ্যে বনবিভাগের গজারী গাছ কেটে নেয়ার বিষয়ে মুঠোফোনে প্রদীপ সাহার নিকট জানতে চাইলে প্রতিনিধিকে বলেন, আমি গাছ কেটে নিয়ে
যাবো। আপনারা শুধু লিখতে থাকেন। যা পারেন লিখতে থাকেন।
একই বিষয়ে গাছ কাটার বিষয়ে অভিযুক্ত রাজীব পাঠান জানান, আমি বাগানের অংশীদার,আমি গাছ কেটে নিয়ে আসবো কেন। যেকয়টি গাছ কেটেছি
সেটি বেশকদিন আগে। আমি গাছ কেটে নিয়েছি এতে বনবিভাগের লোকজন জানে,স্থানীয় চেয়ারম্যান জানে।
এ বিষয়ে ইউএনও ফারজানা খানম জানান আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে চাইছি । দোষী হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।