সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহের ৩৮ দিন পর পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে। একই দিনে গম সংগ্রহের উদ্বোধনও করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপজেলা খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধান, চাল এবং গম সংগ্রহের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ, পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান ও ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ রঞ্জু সহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
জানা যায়, চলতি বছরে ভাঙ্গুড়ায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিকটন বোরো ধান। কিন্তু এবছর ভাঙ্গুড়া উপজেলায় কৃষকরা বোরো ধানের চারা দেরিতে রোপন করায় ধান কাটা ও মাড়াই কার্যক্রম গত সপ্তাহে শুরু হয়। ফলে সরকারিভাবে গত ২৬ এপ্রিল ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হলেও কৃষকদের সুবিধার্থে ভাঙ্গুড়ায় দেরিতে সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা খাদ্য অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে ৮১০ মেট্রিকটন বোরো ধান ক্রয় করবে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ এক মেট্রিক টন করে ধান দিতে পারবে। এরই মধ্যে উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় লটারির মাধ্যমে কৃষকদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলার ৩২ জন মিলারদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে ৭৯৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করবে উপজেলা খাদ্য অফিস। এছাড়া কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ২৮ টাকা কেজি দরে ১৭০ মেট্রিকটন গম ক্রয় করা হবে। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কৃষক শহীদ উদ্দিন সরকার নির্ধারিত মূল্যে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করে সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, লটারির মাধ্যমে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে খাদ্য গুদামে ধান ও গম সংগ্রহের জন্য কৃষক নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়া সরোজমিনে চাল কল পরিদর্শন করে ৩২ জন মিল মালিকদের সাথে চাল ক্রয়ের ব্যাপারে চুক্তি করা হয়েছে। তবে এবছর খোলা বাজারে ধান-গমের ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক। তাই এই উপজেলায় ধান ও গম ক্রয়ের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিতে পারে।