ইউপি চেয়ারম্যান মতিনকে মামলার আসামী করার দাবিতে মানববন্ধন

গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নাটোরের গুরুদাসপুরে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের
ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মতিনের নাম অন্তর্ভূক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। মামলার প্রেক্ষিতে গত এক সপ্তাহে ১০
আসামীকে গ্রেফতার করে কারাগারেও পাঠিয়েছে পুলিশ।
গত ২৬ মে দুপুরে ত্রাণ বিতরণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল
মতিন ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বজলুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বজলুর
বাড়িতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ, টিনের চালা, দরজাসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় তার পিতা ইসমাইল সরদার থানায় বাদী হয়ে চেয়ারম্যান গ্রুপের ২৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার বিন্যাবাড়ি বাজারে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, হামলায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও নেতৃত্বকারী ইউপি চেয়ারম্যান মতিনের নাম মামলায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মামলার বাদী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল সরদার, হামলার শিকার যুবলীগ নেতা বজলু সরদার ও ইউপি সদস্য সায়েদ আলী প্রমূখ। বক্তারা বলেন, অসহায় গরীব মানুষদের মাঝে শীতের সময়ে কম্বল বিতরণ,
ঈদে পোশাক বিতরণ, আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করায় ইউপি চেয়ারম্যান মতিন বজলুর ওপর এক রকম ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান মতিন গ্রুপের লোকজন পিস্তলসহ অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও
লুটপাট করে। সেদিনই মতিন পুলিশ চেয়ারম্যানকে আটক করে। কিন্তু থানায় মামলা
দায়ের করার পর তাকে ছেড়ে দেওয়ায় এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, মামলায় বাদীর প্রদত্ত এজাহারে চেয়ারম্যান মতিনের নাম পাওয়া যায়নি। ঘটনার দিন জড়িত সন্দেহে তাকে আটক করলেও সম্পৃক্ততা না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
তবে মামলার তদন্তে জড়িত পাওয়া গেলে অন্তর্ভূক্ত করা হবে। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে তদন্ত চলছে এবং আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।