ঈশ্বরদী শহরের রেলগেটের ‘ফুড গার্ডেন’ রেষ্টুরেন্টের পঁচা-বাসী হায়দারাবাদি বিরিয়ানী খেয়ে স্থানীয় ৪ জন শিক্ষিত যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এসব যুবকরা হলো হাসপাতাল রোডের ইফতেখায়রুল ইমন, আরএআরএস-এর সিকিউরিটির জুয়েল রানা, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের ষ্টাফ আহসান হাবিব এবং মবিল ব্যবসায়ী রাসেল হোসেন।
মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে ইমন ও জুয়েল রানা ফুড গার্ডেনের বিরিয়ানী খেয়ে অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এসময় তারা জানান, দুপুরে ৪ বন্ধু মিলে ফুড গার্ডেনে যেয়ে খাবার মেন্যু দেখে ১১৯ নং আইটেমের হায়দারাবাদ বিরিয়ানীর অর্ডার করেন। ১৫-২০ মিনিট পরে প্লেটে সাজিয়ে হায়দারাবাদী বিরিয়ানী পরিবেশন করা হয়। খাবার মুখে দিতেই বাসি ও পঁচা ভ্যাপসা গন্ধ বের হলে তারা রেষ্টুরেন্ট ম্যানেজারকে ডেকে খাবারে সমস্যার কথা জানান। ম্যানেজার তাদের বলেন, কোন সমস্যা নেই, নির্ভয়ে খেতে পারেন। আবার তারা খাবার খেতে শুরু করলে বিরিয়ানীতে মিশ্রিত কাজু বাদামে আঠালোভাব ও পঁচা গন্ধ অনুভূত হয় এবং মূহুর্তেই ১জন বমি করতে শুরু করে। এই অবস্থা দেখে ম্যানেজার এসে তাদের সামনে থেকে খাবারগুলো সরিয়ে নেয়। ইমন আরো জানান, আমরা এসময় ম্যানেজারকে বলি খাবার টেষ্ট না করে পরিবেশন করেন কেন। জবাবে ম্যানেজার তাদের বলেন, খরিদ্দারই আমাদের খাবার টেষ্ট করেন। ম্যানেজার এসময় আরো বলেন, খাবারের দাম দিতে হবে না। আপনারা অন্যদিন আসবেন, ভাল খাবার বিনামূল্যে সরবরাহ করব।
এই তরুণরা আরো অভিযোগ করেন, পঁচা ও বাসি খাবার পরিবেশনের বিষয়ে তারা রেষ্টুরেন্টের পার্টনার অলিপের কাছে জানতে চাইলে অলিপ তাদের বলেন, রেষ্টুরেন্টে একটু-আধটু বাসি খাবার থাকতেই পারে। বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে জানানো হবে বলে তারা জানালে অলিপ উল্টো তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, যা খুশি আপনারা করতে পারেন, আমরা ভয় পাইনা।
বাড়িতে যওয়ার পর এই তরুণদের অবস্থা আরো খারাপ হয়। কয়েকদফা বমির সাথে পাতলা পায়খানাও হয়েছে বলে তরুণরা জানিয়েছেন। এই খবর পেয়ে অলিপ পৌর এলাকার নারিচায় রাসেলের বাসায় গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে তারা জানিয়েছেন।
ভূক্তভোগী তরুণরা ফুড গার্ডেনের পঁচা ও বাসী খাবার পরিবেশনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এই রেস্টুরেন্টের বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।