মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নের পালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের কন্যা পিয়ারা বেগম এর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দায়েরকৃত অভিযোগে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ গৌছুল আজম এর নাম উল্লেখ না থাকলেও, সামাজিক যোগাযোগ ও কিছু অনলাইন গণমাধ্যমে মেম্বারকে জড়িয়ে চলছে নানামুখী মিথ্যা অপপ্রচার। ইউনিয়নে বিগত ৪বছর ধরে কোন সরকারী সেলাই মেশিন বরাদ্ধ না হলেও মোঃ গৌছুল আজম মেম্বার আন্তসাং করেছেন বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। এলাকার রমজান উল্ল্যার পুত্র দুদু মিয়ার কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ঘর নির্মাণ করে দিতে উৎকোচ নেয়ার মিথ্যা এবং জঘন্য অপপ্রচার করা হচ্ছে। অথচ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার “ঘর নির্মাণ” প্রকল্পের আওতায় দুদু মিয়ার নামে কোন বরাদ্ধ হয়নি। টিন বিতরণ, প্রেগন্যান্সি ভাতা, নগদ টাকা ইত্যাদি উপকারভোগীর নিজ নিজ একাউন্টে আসে। সেখানে জনপ্রতিনিধির কোন হাত থাকেনা। শুধু মাত্র ইউনিয়নের চৌকিদার এর
মাধ্যমে উপকারভোগীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে একাধিক অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে পিয়ারা বেগমের ভিজিডি’র চাল উত্তোলন করেছেন (পিয়ারা বেগম এর মামাতো ভাই) গ্রামপুলিশ চান্দু মিয়া। এ প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিকের অনুসন্ধানে এ বিষয়ে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। নির্বাচনকালীন ভোটের হিসাব-নিকাশ ও বর্তমান জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ একটি চক্রের কারনেই এ সব অপপ্রচার। বিষয়টি অভিযোগকারী পিয়ারা বেগমও স্বীকার করেছেন। ঘঠনার সত্যতা জানতে এ
প্রতিবেদকসহ একাধিক সাংবাদিক এ বিষয়ে অভিযোগকারীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক জনপ্রতিনিধির রেফারেন্স
দিয়ে জানান- ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে ইস্যু কৃত কার্ড থেকে আমার নামে যে চাল উত্তোলন করা হয় তা আমি জানিনা। মসুদ খাঁন
আমাকে তার বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন।
আমি শুধু স্বাকর করেছি। মেম্বার এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করিনি।
অভিযোগ কোন অফিসে দায়ের করা হয়েছে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারবনা। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৫নং আখাইলকুড়া
ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ চান্দু মিয়া (পিয়ারা বেগম এর মামাতো ভাই) তার বাড়ীতে এসে জানান- “বোন” পিয়ারা তোমার ভিজিডি চাল আমি উত্তোলন করে খেয়ে ফেলেছি। তুমি এখন থেকে সব পাবে। বিষয়টি ছেড়ে
দাও। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ গৌছুল আজম জানান-আমার এলাকায় নির্বাচনী প্রতিপক্ষ আমার জনপ্রিয়তায়
ঈর্শানিত হয়ে আমাকে নানামুখী ষড়যন্ত করে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার নাম প্রকাশ করে আমার সম্মান হানি ও বিভিন্ন মাধ্যমে হয়রানী করছে।
অথচ, এসব অভিযোগের ব্যপারে আমি অথবা পরিষদের কেউ কিছুই জানিনা। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধালীল। এসব অভিযোগ গুলো মিথ্যা ও
বানানোয়াট। আমি এসবের সাথে জড়িত নয়। আমার কাছে রেকর্ড রয়েছে, একটি চক্র এলাকায় এসে আমাকে জড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য পেয়ারা বেগমকে একাধিকবার শিখিয়ে দিচ্ছে। সেই তাদের শিখানো কথাগুলোই আবার অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশ। ৫নং আখাইলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান
সেলিম আহমদ বলেন- ভুক্তভোগী মহিলা আমাকে এ বিষয়ে কোনদিন কোন
অভিযোগ করেনি। শুনেছি মেম্বার গৌছুল আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে শুনেছি, তবে আমি লিখিত অভিযোগের কোন কপি পাইনি।
পরিষদের কোন মেম্বার এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।