গত ২০মে ২০২০ইং তারিখ দুর্গাপুর থানাধীন ঝানজাইল বাজারের দক্ষিন পাশে বালু পোর্ট
হতে ট্রাকে বালুভর্তি করে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ট্রাক চালক জুয়েল মিয়া(২৫) । ট্রাক মালিক মো: সদরুল আলম খান সেই দিন সন্ধ্যায় ট্রাক চালক জুয়েল মিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ দেখায় । পরবর্তীতে ট্রাক মালিক চালকের স্ত্রী মোছাঃ
হোছনা আক্তার (২০) এর সাথে যোগাযোগ করলে সে তার স্বামীর সন্ধ্যান দিতে পারে নাই। গত ২৯-০৫-২০২০ইং ট্রাক মালিক মো: সদরুল আলম তাহার ট্রাক হারানোর বিষয় নিয়া দুর্গাপুর থানায়
সাধারন ডায়রী করেন । এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্গাপুর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান সহ এস.আই (নিঃ) আব্দুল হালিম সাধারণ ডায়রীর ঘটনাস্থল দুর্গাপুর থানাধীন রোহানিকান্দা পরিদর্শন শেষে তদন্তকারী দল বিষয়টি দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ
মিজানুর রহমানকে অবহিত করিলে ও.সি মোঃ মিজানুর রহমান বিষয়টি সহকারী পুলিশ সুপার, জনাব মাহমুদা শারমীন নেলী, দুর্গাপুর সার্কেল, নেত্রকোণা, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব এসএম আশরাফুল আলম, নেত্রকোণা এবং নেত্রকোণা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুন্সী মহোদয়কে অবহিত করিয়া তাহাদের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করিয়া
তদন্তকারী দল জানতে পারে য়ে ট্রাক চালক জুয়েল মিয়া চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার অন্তর্গত গোহট গ্রামে ড্রাইভার ও ট্রাকের সম্ভাব্য অবস্থান থাকতে পারে বলিয়া জানতে পারেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ দিক নির্দেশনায় ট্রাক ড্রাইভার ও ট্রাক উদ্ধারের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানা এলাকার
উদ্দেশে ইং ৩০/০৫/২০২০ তারিখ রওনা হয়। ইং ৩১/০৫/২০২০ তারিখ উদ্ধারকারী পুলিশ দল চাঁদপুর জেলায় হাজির হইয়া ট্রাক ও ট্রাক ড্রাইভার জুয়েল মিয়াকে সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করেন।
ড্রাইভার এবং ট্রাক খোঁজা খুজি করার প্রক্কালে ইং ৩১/০৫/২০২০ তারিখ বিকাল অনুমান
০৪:০০ ঘটিকার সময় জনৈক জাকির হোসেন (৫০), পিতা- আঃ মান্নান, সাং- গোহট, থানা-
কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর এর বসত বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে পাঁকা রাস্তার উপর দাড়ানো অবস্থায় একটি ট্রাক দেখিয়া উক্ত ট্রাকটির প্রতি সন্দেহ হয়। তারপর উদ্ধারকারী পুলিশ দল উক্ত ট্রাকটির সন্নিকটে যাইয়া উক্ত ট্রাকটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করিয়া পুলিশের সাথে থাকা ট্রাকের মালিক সদরুল আলম ট্রাকটি তাহার বলিয়া সনাক্ত করেন। উদ্ধারকারী পুলিশ দল ট্রাকের কাগজ পত্রের সহিত গাড়ীর
চেসিস নম্বর-৩৭৩১৪৪ঊ৫জ১০০৪৫৬ এবং ইঞ্জিন নম্বর-৬৯৭ঞঈ৪৮ঋঠণ১০৭১৭১ মিলাইয়া উক্ত ট্রাকটি
হারানো ট্রাক বলিয়া সনাক্ত করেন। ট্রাকটি পর্যবেক্ষণকালে দেখা যায় যে, ট্রাকের কেবিনের দুই পাশ্বের দরজায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান বীর প্রতীক মুছিয়া এর স্থলে মোঃ কাউছার পরিবহন-০১ এবং ট্রাকের প্লেট নম্বরে ঢাকা মেট্টো-ট-১৮-৫৬৩২ এর স্থলে ঢাকা মেট্টো-ট-১৮-৫৭৪৩ লিখিয়া রাখিয়াছে। ট্রাকটি জনৈক জাকির হোসেন এর বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে রাস্তার উপর পাইয়া উদ্ধারকারী পুলিশ দল ট্রাকটি জব্দ তালিকামূলে জব্দ করেন এবং নিজ হেফাজতে নেন। পরে স্থানীয়
লোকদের নিকট ট্রাকের ড্রাইভার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে পলাতক ট্রাক ড্রাইভার মোঃ জুয়েল মিয়া (২৫) এর ভাড়া বাসার ঠিকানা জানায়। উদ্ধারকারী পুলিশ দল ট্রাকের ড্রাইভার জুয়েল মিয়াকে জনৈক জাকির হোসেন (৫০), পিতা- আঃ মান্নান, সাং- গোহট, থানা- কচুয়া, জেলা- চাঁদপুর এর বাড়ী হইতে গ্রেফতার করিয়া ট্রাক ড্রাইভার এবং উদ্ধারকৃত ট্রাক ইং ০১/০৬/২০২০ তারিখ দুর্গাপুর থানায় নিয়া আসেন। ট্রাক ড্রাইভার মোঃ জুয়েল মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে ইং ২০-০৫-২০২০ তারিখ প্রতারণা পূর্বক অপরাধ মূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করিয়া ট্রাকের
নাম ও নম্বর প্লেট পরিবর্তন করিয়া অবৈধ লাভবানের উদ্দেশ্যে আত্মসাৎ করিয়া আত্মগোপন করিয়াছিল। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ট্রাক মালিক সদরুল আলম এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্গাপুর থানার মামলা নং- ০৩, তারিখ- ০১/০৬/২০২০ইং, ধারা- ৪২০/৪০৬ দঃ বিঃ রুজু হয় ।
জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ দিক নির্দেশনায় দুর্গাপুর থানা পুলিশের চৌকোশ
পুলিশ দল অত্যন্ত দক্ষতা, মেধা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করিয়া নিরলস প্ররিশ্রমের মাধ্যমে এই ঝুকিপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে অতি অল্প সময়ের পলাতক ট্রাক ড্রাইভার ও ট্রাক গ্রেফতার ও জব্দ করিতে সক্ষম হয়।
ট্রাক উদ্ধার ও চালককে গ্রেফতারের পর ২জুন মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর থানা ক্যাম্পাসে
প্রেস ব্রিফিং এ বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব এসএম আশরাফুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার, জনাব মাহমুদা শারমীন নেলী, দুর্গাপুর সার্কেল, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান, এস.আই (নিঃ) আব্দুল হালিম, ট্রাক মালিক মো: সদরুল আলম খান প্রমুখ ।