ঢাকায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আসাদুল ইসলাম আসাদকে রাজশাহীর বাগমারায় দাফন সর্ম্পণ করা হয়েছে। সোমবার (১ জুন) রাত দশটায় দিকে ঝাড়গ্রামে স্বল্প পরিসারে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে তার জানাযা শেষে পারিবারকি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত আসাদুল ইসলাম আসাদ উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়নে ঝাড় গ্রামের আলহাজ্ব মজিবর রহমানের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে আসাদুল ইসলাম ছিল ছোট। আসাদুল ইসলাম প্রায় ৭-৮ বছর ধরে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের লাইব্রেরীয়ান শাখার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি এক ছেলে সন্তান নিয়ে সপরিবারে ঢাকার রায়ের বাগে এলাকায় বসবাস করতেন।
গত ৩-৪দিন আগে তার শরীরে জ্বরের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। করোনার কারনে মেডিকেলে সেভাবে যায়নি আসাদুল ইসলাম। সুস্থ হওয়ার আসায় বাসাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতেন। শরীরে জ্বর থাকার পরেও হঠাৎ করেই ৭-৮ টা কলা খেয়ে ফেলেন তিনি। এর ফলে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি দেখা দেয়। শ্বাস কষ্ট শুরু হয় আসাদুলের। এক পর্যায়ে কথা বলতে পারে না। সে সময় অফিসের গাড়িতে করে সোমবার সকালে আসাদুলকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসা শুরুর আগেই মেডিকেলের বারান্দায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আসাদুল ইসলাম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৪০ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী মিনু ও আলভি নামে আট বছরের একটি পুত্র সন্তান রেখে গেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে মৃত আসাদুলের লাশ তার গ্রামের বাড়ি ঝিকরার ঝাড়গ্রামে এসে পেীছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। করোনা উপসর্গ থাকার কারণে ঘটনা স্থলে লোকজন আসতে না পারলেও তার মৃত্যুর খবর শুনে সবাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ সময় আসাদুলের স্ত্রী মিনু বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং ছেলে আলভি বাবার মৃত্যুতে নির্বাক হয়ে গেছে। সোমবার রাত দশটায় দিকে ঝাড়গ্রামে স্বল্প পরিসারে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে তার জানাযা শেষে পারিবারকি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তার জানাযায় উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আতাউর রহমান সহ প্রশাসনের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রমুখ।