দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে শ্রমিক কর্মচারীদের ১৫ জুন পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটি প্রদান করা হয়েছে।
তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিয়োজিত ১০৭ জন শ্রমিক কর্মচারীকে গত রবিবার খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহম্মদ ছানা উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে তা জানানো হয়েছে। একটানা ২মাস ৬ দিন সাধারণ ছুটির সময় এসব শ্রমিক কর্মচারী বেতন ভাতা পেলেও ছুটি শেষে কাজে যোগদান করতে গেলে বিনা বেতনে ছুটির নোটিশ জানতে পারে তারা। তৃতীয়পক্ষ মেসার্স ব্লু স্টার সার্ভিসেস লিমিটেডকে দেয়া ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে এসব শ্রমিক খনি এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। কয়লাখনির নিরাপত্তা এবং কোম্পানী এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবার পরিজনকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য শ্রমিক ছাড়াও কোম্পানী এলাকার বাইরে অবস্থানরত কর্মকর্তা কর্মচারীকেও কোম্পানী এলাকায় প্রবেশের অনুমতি না প্রদানের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি, সিএমসি কনসোর্টিয়াম, বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কয়লাখনির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, আউটসোর্সিং এর ১০৭জন শ্রমিক ছাড়াও ১১৪৭জন বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন। গত ২৬ মার্চ থেকে দির্ঘ ৬৬টি দিন মোট ১২৫৪ জন শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। সাধারণ ছুটি ঘোষনাকালে তারা মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। এছাড়াও তাদেরকে সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী শতকরা ৬০ ভাগ বেতন প্রদানের কথা ছিলো। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন কিছুই করেনি। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের উপ-মহাব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) মোহম্মদ ছানা উল্লাহ জানান, এসব শ্রমিক কর্মচারী ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ ভিত্তিতে তৃতীয়পক্ষ মেসার্স ব্লু স্টার সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে নিয়োজিত। চুক্তি অনুযায়ী সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে তারা বেতন ভাতা পেয়েছিল। এখন যেহেতু সাধারণ ছুটি নেই এবং খনির চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাহিরে অবস্থানরত কোন কর্মকর্তা কর্মচারী, শ্রমিকদেরকে ভিতরে প্রবেশে আপত্তি জানিয়েছে। তাই তাদেরকে কাজে যোগদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে শ্রমিকদেরকে বিনা বেতনে ১৫ দিনের ছুটি প্রদান করা হয়।