গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসে মানা হচ্ছে না সরকারি আদেশ। সামাজিক দুরত্বের বালাই নাই, গাদাগাদি করে বিল প্রদান করছে গ্রাহকরা। করোনার এই সংকট মহুত্বে দীর্ঘ সারির লাইনে দাড়িয়ে বিল প্রদানের বিষয়টি, সচেতন মহলের মনে নানাবিধ সংশয় দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ব্যাংক সমূহে বিদ্যুৎ বিল না নেয়ার কারণে বিরম্বনায় পড়েছে গ্রাহকরা। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সেচ, আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহক রয়েছে ৮৫ হাজার। করোনার কারণে ২ হতে ৩ মাস বিল দিতে পারে নাই অনেকে। বিলম্ব মাশুলের ভয়ে গ্রাহকরা বিল প্রদানে হুমরি খেয়ে পড়েছে। সরেজমিন আজ সোমবার বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা গেছে বিল প্রদানের চিত্র। কমপক্ষে দেড় হাজার গ্রাহক বিল প্রদানের জন্য জমা হয়েছে বিদ্যুৎ অফিসে। গ্রাহকরা গাদাগাদি করে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে বিল প্রদানের জন্য অপেক্ষা করছে। সেখানে মানা হচ্ছে না কোন সামাজিক দুরত্ব এবং অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। কথা হয় গ্রাহক মশিউর রহমানের সাথে । তিনি বলেন বিল প্রদানের জন্য সকাল ১০টায় এসেছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ২ ঘন্টা দাড়িয়ে থেকেও বিল জমা দিতে পারিনি এখনও। তিনি বলেন ব্যাংকে গিয়ে ছিলাম বিল নেয়নি। তিনি বলেন অনুমান নির্ভর বিল দেয়ার কারণে বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। জোনাল অফিসের ডিজিএম মিলন কুমার কুন্ড জানান, বহুবার গ্রাহকদের গাদাগাদি করে না দাড়ানোর জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু গ্রাহক তা মানছে না। তিনি বলেন অফিসে দুইজন মাত্র ক্যাশিয়ার এছাড়াও আরও দুইজনকে বিল নেয়ার জন্য বসানো হয়েছে। তারপরও গ্রাহকদের উফছে ভিড়। গ্রাহকদের নিষেধ করলে আজেবাজে কথাবার্তা বলে। ব্যাংক এবং মোবাইলের মাধ্যমে বিল প্রদানের কথা বলা হলেও তা দিচ্ছে না। ব্যাংকে বিল না নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।