নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর করোনার প্রভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে নাটোর বিসিক শিল্প নগরীর মালিকদের ক্ষতির
পরিমান। কেউ কেউ সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর পাশাপাশি জরুরী পণ্য
উৎপাদন করে টিকিয়ে রেখেছেন কারখানাকে। এদিকে, বিসিকি কর্তৃপক্ষ প্রায় কোটি
টাকার ক্ষতি নিরুপন করেছে। আর ক্ষতিগ্রস্থ কারখানা মালিকদের প্রনোদনা দিয়ে তাদের
কারখানা চালু রাখার দাবী জানিয়েছেন মালিকরা।নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়া বিসিক শিল্প
নগরীতে ছোট-বড় সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে ৩৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।কিন্তু করোনার কারনে
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চালু রয়েছে মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠান। বছরের অন্য সময় যে সব পণ্য উৎপাদন
করে কারখানা চালু রাখা হয় করোনার সময় তা বেশির ভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু কিছু
শিল্প কারখানার মালিক হ্যান্ড সেনিটাইজার, খাদ্য পণ্য সহ বিভিন্ন জরুরী পণ্য উৎপাদন করে
কারখানা চালু রেখেছেন। কিন্তু দীর্ঘ লক ডাউনের কারনে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে
হিমশিম খেতে হচ্ছে কারখানার মালিকদের।নাটোর জুট মিলসের মালিক শ্যাম সুন্দর
আগরওয়াল বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে যারা আশ-পাশের দেশগুলোতে পাটজাত সহ বিভিন্ন পণ্য
রপ্তানী করে আসলেও করোনার কারনে তা বন্ধ হয়ে গেছে। গত কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে
নাটোর থেকে রপ্তানী যোগ্য পণ্য। এতে করে বৃহৎ লোকসানের আশঙ্কা করছি পণ্য
রপ্তানীকারকরা। এক্ষেত্রে সরকারী প্রনোদানা দিয়ে কারখানা মালিকদের বাঁচিয়ে রাখার দাবী
জানাচ্ছি।১৯৮৭সালে নাটোর বিসিকি শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত বড় ধাক্কা
লাগেনি কখনও। করোনার কারনে সে ধাক্কায় পিষ্ট এখানকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্ততারা।
প্রতিদিনই বাড়ছে লোকসানের পরিমান। প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি নিরুপন করে
ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প মালিকদের বাঁচিয়ে রাখার দাবী বিসিক কর্তৃপক্ষের।নাটোর বিসিক
শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক দিলরুবা দীপ্তি বলেন, করোনার সময় লক ডাউনের কারনে শিল্প
মালিকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি নির্নয়
করেছি। সরকারী ভাবে ঘোষিত প্রনোদনা দ্রুত দেওয়া হলে পুনরায় শিল্প মালিকরা ঘুরে
দাঁড়ানোর চেস্টা করবে।নাটোরের জেলা প্রশাসক মো: শাহরিয়াজ বলেন, সরকারের ঘোষিত
প্রনোদনা পেলে ক্ষতিগ্রস্থ শিল্প মালিকদের আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করা হবে।